গন্তব্য ভুলে নয়, ভাগ্য তাকে গতকাল রাতে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশে। নয়তো গতকাল বিকেলে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাশিদ খানের সঙ্গে ফটোসেশন করতে পারতেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। 

তার জায়গায় ছিলেন জাকের আলী। ফর্ম হারিয়ে যিনি এখন আছেন প্রবল চাপে৷ তার নেতৃত্বেই আজ থেকে শুরু হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপের পরপরই আফগানিস্তান সিরিজ। এ কারণে দুবাইতেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের আতিথিয়তা নেওয়ার আগে দুইদিন নিজেদের খরচে দুবাইতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ।

লিটনের চোটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন জাকের আলী অনিক। এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত থাকলেও আফগান সিরিজে তিনি ভারমুক্ত। এই সিরিজ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি, ‘’আমরা এখানে এসেছিলাম এশিয়া কাপে ভালো ক্রিকেট খেলতে। সেটা হয়নি, ব্যাপারটা হতাশার। তবে এই সিরিজ খেলার জন্য মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় আছি।'’

অধিনায়কের চ্যালেঞ্জ নিতেও প্রস্তুত তিনি, ‘’যেহেতু দায়িত্ব এসেছে পালন করতে হবে। যে দায়িত্ব সেটা পালন করার চেষ্টা করব। টিম প্ল্যান অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’’

আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বিশ্বসেরাদের কাতারে। রশিদ খান, নুর আহমেদ ও মোহাম্মদ গজনফরকে সামলানো সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। এশিয়া কাপে বাংলাদেশি টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কেবল সাইফ হাসান আলো ছড়িয়েছেন। তাকে ঘিরে বড় আশা বাংলাদেশের,  

‘‘মূল চ্যালেঞ্জ হলো নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলা। গত সিরিজে আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারিনি। তাই এবার মূল পরিকল্পনা হলো ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া। এশিয়া কাপে আমরা সবচেয়ে বেশি ভুগেছি ব্যাটিংয়ে, তাই সেটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’’

‘‘সাইফ হাসান খুবই ভালো করছে। আমরা চাইবো যে এই সিরিজেও সে এরকম বড় রান করতে পারে। ওর সাথে সাথে অন্য ব্যাটাররাও যেন ভালো করতে পারে তাহলে আমাদের জন্য সিরিজটি খুব ভালো হবে।’’ - বলেছেন জাকের। 

বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় শুরু হবে ম্যাচ।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ