চক্র পূরণ করে ২৫ বছর পর আবার বেনফিকায় ফিরলেন জোসে মরিনিও। ২০০০ সালে এই বেনফিকার দায়িত্ব নিয়েই প্রধান কোচের ভূমিকায় কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে মরিনিও ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেনফিকা। পর্তুগালের শীর্ষ লিগের সফলতম এই ক্লাবের সঙ্গে মরিনিও চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

দুই যুগের বেশি সময় আগে বেনফিকায় পেশাদার কোচিং শুরুর পর মাত্র ১১ ম্যাচ দায়িত্ব পালন করেছিলেন মরিনিও। সেই ১১ ম্যাচে তাঁর দলের জয় ছিল ৬টিতে, ড্র ৩টি, ২টিতে হার।

এরপর ২০০১ সালে বেনফিকা ছেড়ে যোগ দেন আরেক পর্তুগিজ ক্লাব উনিআঁউ দ্য লাইরিয়াতে। সেখানেও এক মৌসুম দায়িত্ব পালন করে যোগ দেন পোর্তোয়। পোর্তোর হয়ে টানা দুটি লিগ জেতার পাশাপাশি ২০০৩–০৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতেন মরিনিও।

আরও পড়ুনএক বছরে ৫ বিতর্ক, অবশেষে বরখাস্ত মরিনিও২৯ আগস্ট ২০২৫

এ সাফল্যই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলোর দুয়ার খুলে দেয় মরিনিওর জন্য। ২০০৪ সালে তিনি যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। সেখানে জেতেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ। এরপর পর্তুগিজ এই কোচ একে একে দায়িত্ব পালন করেন ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, দ্বিতীয় মেয়াদে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহাম, এএস রোমা ও ফেনেরবাচের মতো ক্লাবে।

মরিনিও যখন প্রথম মেয়াদে বেনফিকায় ছিলেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 

গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি। 

সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। 

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” 

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীর ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আফগানিস্তান
  • সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে
  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার