লালচে কমলা রঙের রসালো ফল পিচ। একটি পিচ সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের হয়। মাঝেমধ্যে দু-একটির ওজন ২৫০ গ্রামের বেশি হয়ে থাকে। তাই বলে প্রায় ৮২৯ গ্রাম ওজনের পিচ!
বেশ বড় আকারের এই পিচ জন্মেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি বাগানে। বাগানটি ভার্জিনিয়ার ক্রোজে, নাম চিলস পিচ অর্চাড।
বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, রেকর্ড গড়ার জন্য পরিকল্পনা করে বা গাছের খুব যত্নআত্তি করে তাঁরা পিচ ফলিয়েছে, বিষয়টা এমন নয়; বরং প্রাকৃতিকভাবে এ বছর উপযুক্ত আবহাওয়া সেটিকে এতটা বড় হতে সাহায্য করেছে।
এ মাসের শুরুতে বাগান থেকে ওই পিচ পাড়া হয়। সেটির আকার বাগান কর্তৃপক্ষকে বেশ অবাক করেছিল। এ জন্য তারা সেটির ওজন দেয়। ফলটির ওজন হয় ১ দশমিক ৮৩ পাউন্ড বা ৮২৮ দশমিক ৫ গ্রাম।
এত ওজন দেখে প্রথমবার তাদের মাথায় ঢুকে এটি কি বিশ্ব রেকর্ড হতে পারে।
বিশাল আকারের পিচটি জন্মেছে হেনরি চিলসের বাগানে। তিনি স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘আমরা জেনেবুঝে পরিকল্পনা করে সবচেয়ে বড় পিচ ফলানোর চেষ্টা করিনি। শুধু এ বছর যে আবহাওয়া ছিল, তা আমাদের খুব ভালোভাবে সহায়তা করেছে। এ কারণে বাগানে একটি বিশাল পিচ বেড়ে উঠেছে।’
হেনরি পিচটির নাম দেন ‘পিএফ-২৭এ’। সবচেয়ে বেশি ওজনের পিচের স্বীকৃতি চেয়ে এরপর তাঁরা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
১০ সেপ্টেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ পিএফ-২৭একে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের পিচের স্বীকৃতি দেয়।
আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বাগান কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, ‘এখন এটা আনুষ্ঠানিক। আমরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ওজনদার পিচ ফলানোর রেকর্ডের মালিক।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘এত বিশাল আকারের ফলটি জন্মানোর জন্য হেনরি চিলসকে অভিনন্দন। আর তাদের স্বীকৃতির জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকেও আমাদের ধন্যবাদ।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প চ ফল র কর ড সবচ য় ওজন র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে নাতির শিলের আঘাতে নানির মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে নাতির শিলের আঘাতে হাসিনা বেগম (৬৩) নামে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নাতি সাজেদুল হক সাজুকে (৩২) স্থানীয় লোকজন ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাসিনা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে।
মৃতার ভাতিজা আশরাফ আলী জানান, হাসিনা বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম ২০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তিনি ধলপুরে একাই বসবাস করতেন এবং অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তিনি আরও জানান, সাজেদুল হক সাজু বেকার। সে হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে নানি-নাতির সম্পর্ক তৈরি হয়। শনিবার সকালে সাজু হঠাৎ ঘরে ঢুকে দরজা আটকে শিল দিয়ে হাসিনার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সাজেদুলকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করে। পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং সাজেদুলকে আটক করে নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সাজেদুল হক সাজু একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে এর কারণ এখনো জানা যায়নি।’’
ঢাকা/বুলবুল//