রাজধানীতে আবাসন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যস্ত শহরের ভেতরে মানুষ খুঁজছে এমন একটি ঘর, যেখানে থাকবে স্বস্তি, আধুনিক সুবিধা আর নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি। এই চাহিদার সমাধানে শুরু থেকেই কাজ করছে এডিসন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। নান্দনিক নকশা, আধুনিক সুবিধা আর মানসম্মত উপকরণ—প্রতিটি প্রকল্পেই প্রতিষ্ঠানটি রেখেছে বিশেষ মনোযোগ। বেশির ভাগ আবাসনই নির্মিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে। ফলে কাজ এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। এই যাত্রায় এডিসন বেছে নিয়েছে রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণীয় ঠিকানা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত আর সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এডিসন এখন দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল ডেভেলপার ব্র্যান্ডগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট

গত ৩ বছরে রাজধানীতে ৩ হাজারের বেশি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন ক্রেতারা, যা বার্ষিক মোট ক্রেতার ১০ শতাংশের বেশি। তাঁরা বেছে নিয়েছেন সুপরিকল্পিত এই ১১৩ বর্গকিলোমিটার আবাসিক এলাকা। বড় আকারের প্লট ও নাগরিক সুবিধার জন্য এই আবাসিক এলাকা হয়ে উঠছে ঢাকাবাসীদের অন্যতম পছন্দের। এডিসন রিয়েল এস্টেটের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ছিল ‘এম’ ও ‘এন’ ব্লকে প্রথমদিকেই প্রকল্প শুরু করা, যা তাদের প্রাথমিক সফলতায় বড় ভূমিকা রাখে। বর্তমানে তারা বসুন্ধরা আবাসিকের শীর্ষস্থানীয় ডেভেলপারে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অন্য ডেভেলপাররাও একই ধারা অনুসরণ করে। ধীরে ধীরে পুরো এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। গবেষণা মতে, শুধু আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোই এখানে গত ৩ বছরে ৮ হাজার কাঠার বেশি ভূমি অধিগ্রহণ করেছে, যা ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ।

বর্তমানে বসুন্ধরার এম ও এন ব্লকে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন হচ্ছে। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, মাদানি অ্যাভিনিউর সঙ্গে সংযোগ ও প্রস্তাবিত পাঁচটি মেট্রো স্টেশন—সব মিলিয়ে যাতায়াতব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে বসবাসের জন্য গড়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রোসারি শপ, পার্ক, খেলার মাঠ ও বিশ্বমানের ক্রীড়াকেন্দ্র। এখানেই এডিসন হস্তান্তর করেছে তিনটি প্রকল্প। বর্তমানে নির্মাণ করছে আরও ৯টি, যার মধ্যে ৪টি প্রায় হস্তান্তরযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগেই থাকছে নানা রকম অনুষঙ্গ—ডাবল হাইট স্পেস, শিশুদের খেলার জায়গা, সবুজ লন, রিসেপশন লাউঞ্জ, মাল্টিপারপাস হল, ইনডোর গেম রুম, ইকুইপড জিমনেসিয়াম, জেন গার্ডেন, রুফটপ লেজার এরিয়া ও বারবিকিউ জোন।

আধুনিক সব সুবিধা, খোলামেলা পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি দিন বাসিন্দাদের জন্য করে তোলে স্বস্তির ও আনন্দময়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

দীপিকার লিভারের ২২ শতাংশ কেটে ফেলা হয়েছে

হিন্দি টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ দীপিকা কাক্কর লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার লিভারের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। ভারতী সিং ও তার স্বামী সঞ্চালিত পডকাস্টে হাজির হয়ে এসব তথ্য জানান দীপিকা।  

এ বিষয়ে দীপিকা কাক্কর বলেন, “আমার শরীর থেকে প্রায় ১১ সেন্টিমিটার আকারের একটি টিউমার অপসারণ করা হয়েছে, যা লিভারের প্রায় ২২ শতাংশ।” 

আরো পড়ুন:

বয়স্করা প্রেমের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে বেশি পারদর্শী: টুইঙ্কেল

ডিভোর্সের গুঞ্জনের মাঝে হাসপাতালে মাহি

বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, “নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবারো এফএপিআই স্ক্যান করাব। এফএপিআই স্ক্যান অনেকটা সিটি স্ক্যানের মতো। তবে এটি বিশেষভাবে শরীরে ক্যানসারের কোষ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা শুরু করার আগে ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে তা বুঝতে এটি সাহায্য করে।” 

ক্যানসারের সেল শুধু টিউমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, তার শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে ছড়ায়নি। ক্যানসারযুক্ত অংশটি লিভারের সঙ্গে অপসারণ করা হয়েছে। মূলত, এটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয় বলে জানান দীপিকা। 

দীপিকার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ তার জীবনযাপন অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এ বিষয়ে দীপিকা বলেন, “স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরও কীভাবে আমার ক্যানসার হয়েছে, তার উত্তর চিকিৎসকরা দিতে পারেননি।” 

ইউনিভার্সিটি অব মুম্বাই থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে বিমানবালা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন দীপিকা কাক্কর। অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ বছর পর এ চাকরি ছেড়ে দেন। ২০১০ সালে অভিনয়ে পা রাখেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিনয়ে খ্যাতি কুড়ান এই অভিনেত্রী।  

২০১১ সালে রওনক নামে একজনকে বিয়ে করেন দীপিকা। ২০১৫ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ২০১৮ সালে সহঅভিনেতা শোয়েব ইব্রাহিমকে বিয়ে করেন দীপিকা। ২০২৩ সালের ২১ জুন পুত্রসন্তানের মা হন দীপিকা। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ