আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও
Published: 24th, September 2025 GMT
রংপুরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলীকে ‘মব’ করে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্তার প্রতিবাদ ও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করেছেন জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারে তিন দিনের সময়সীমা দেন।
আজ বুধবার দুপুরে সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে), রংপুর প্রেসক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অংশ নেন।
আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী দৈনিক সংবাদের বিভাগীয় প্রতিনিধি ও বাংলা ট্রিবিউনের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব রহমান, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান নাজমুল আলম, এখন টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান মোকাররম হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, লিয়াকত আলীকে হেনস্তার ঘটনায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ উপস্থাপন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখে মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
পরে সাংবাদিকদের ঘেরাও কর্মসূচিতে আসেন পুলিশ কমিশনার মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আস ম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের আবারও বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি
প্রকৌশলীদের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকারসংক্রান্ত তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আজ শনিবার তাঁরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে রুয়েট থেকে বের হয়ে তালাইমারী মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন।
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের তালাইমারী মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে সমাবেশ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্মসূচি শেষ হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো সমাধান দেয়নি। এর আগে রাজধানীমুখী লংমার্চে পুলিশি বাধার মুখেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তখন চাপের মুখে সরকার একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির মুখে নতুন করে ছয় সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। নতুন এই কমিটির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের দাবি, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে। আগের কমিটির সুপারিশ ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশের সময়সীমা দেওয়া হলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
সমাবেশে পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশলীদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। পেশাগত মর্যাদা রক্ষা এবং অযৌক্তিক বৈষম্য দূর করতে প্রণীত সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা তালাইমারী মোড়ে অবস্থান নিয়ে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো সহকারী প্রকৌশলী (নবম গ্রেড) পদে নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে, কোনো প্রমোশন কোটা থাকবে না। উপসহকারী প্রকৌশলী (দশম গ্রেড) পদে শতভাগ ডিপ্লোমা কোটা পরিহার করে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না।