সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্মাণাধীন তিনটি হলের নামকরণও করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা চলে।

উপাচার্য জানান, ছাত্রদের আবাসিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় ২৪ হল’ করা হয়েছে। ছাত্রীদের দুটি হলের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘প্রথম ছাত্রী হলের’ নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘আয়েশা সিদ্দিকা হল’ এবং ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘ফাতিমা তুজ জাহরা হল’।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন ছাত্রছাত্রীদের ১০ তলাবিশিষ্ট দুটি নতুন হল ও ৭ তলাবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রহলের নাম ‘গাজী বোরহান উদ্দিন হল’, ছাত্রীদের নির্মাণাধীন নতুন হলের নাম ‘সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত হল’ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের নাম রাখা হয়েছে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের নামে ‘এম সাইফুর রহমান আন্তর্জাতিক হোস্টেল’।

অন্যদিকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণা সেলের’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জালালাবাদ গবেষণা কেন্দ্র’।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হল র ন ম র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুর নাম রেখে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন তিনি

সদ্যোজাত সন্তানের নামকরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ ও দোটানার শেষ নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাসিন্দা টেলর এ হামপ্রি শিশুদের নামকরণকে পেশায় পরিণত করেছেন। মা–বাবাকে নবজাতকের জন্য নাম খুঁজে পেতে সহায়তা করাই তাঁর কাজ। বিনিময়ে তিনি নেন লাখ লাখ টাকা।

দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট–এর তথ্যমতে, কোনো শিশুর নাম খুঁজে দিতে হামপ্রি সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ।

নামের প্রতি হামপ্রির ভালোবাসা পুরোনো। এক দশক আগে তিনি শিশুদের নামকরণে অনলাইনে সেবা দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে শিশুদের নাম রাখা নিয়ে প্রচার শুরু করেন। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচ শতাধিক শিশুর নাম রাখতে সহায়তা করেছেন।

হামপ্রির গর্ভবতী নারীদের মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে। তা ছাড়া ব্র্যান্ডিং ও বিপণন নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতা আছে। নামকরণের ব্যবসা করতে তাঁকে এসব বিষয় সহায়তা করেছে।

নবজাতকের মা–বাবার পছন্দ বুঝতে হামপ্রি তাঁদের অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। সাধারণ ই-মেইল নামের তালিকা দিয়ে পরামর্শ দিতে তিনি নেন ২০০ ডলার (প্রায় ২৪ হাজার টাকা)। আর পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজের জন্য নেন ৩০ হাজার ডলার। এই প্যাকেজে অন্যান্য কিছুর মধ্যে যে শিশুর নাম রাখা হবে, তার পারিবারিক ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হয়।

শুধু নাম প্রস্তাব নয়, শিশুর নাম রাখা নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিলে হামপ্রিকে অনেক সময় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করতে হয়। ধনী পরিবারের পাশাপাশি পরিচিত তারকারাও নবজাতকের নামকরণে তাঁর দ্বারস্থ হন।

২০২১ সালে নিউইয়র্কার–এ হামপ্রির প্রোফাইল ছাপানো হয়। এর পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।

হামপ্রিকে নিয়ে অনলাইনে কিছুটা সমালোচনাও হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছে, এমন আধেয়র (কনটেন্ট) মাধ্যমে প্রায় সময় মানুষ আমাকে খুঁজে পায়। তাই আমি এটা মেনে নিয়েছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, আমার কাজটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুর নাম রেখে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন তিনি