‘যুক্তরাজ্য অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখ
Published: 29th, September 2025 GMT
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায়।’’ তবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন’ নিয়ে অতীতে তাদের যে অবস্থান ছিল, সেই প্রসঙ্গ এবার আর তোলেননি সারাহ কুক।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সারাহ কুক। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সংসদ নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ
পাহাড়ে আবারও পুরাতন খেলা শুরু হয়েছে: মেজর হাফিজ
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘‘সিইসির সঙ্গে খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। কয়েক মাস আগেও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে নির্বাচন বিষয়ক আলোচনায় আগ্রহ ছিল, এবারো সেই ধারাবাহিকতায় আমরা এসেছি। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানায়। নাগরিকদের মধ্যে ভোট নিয়ে সচেতনতা তৈরির বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। বিশেষ করে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং পোলিং কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’’
তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাইকমিশনার সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমি অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলব না। যেমনটা বলেছি, যুক্তরাজ্য অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’’ পুনরায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হাইকমিশনার কোনো উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মার্চ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ চেয়েছিল যুক্তরাজ্য। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেও একই ধরনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল দেশটি।
ঢাকা/এএএম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।