সিলেটে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
Published: 4th, October 2025 GMT
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর ইসলামপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে ছুরিকাঘাতে সাংবাদিক হায়াতকে হত্যা
গোপালগঞ্জে সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
নিহত গৃহবধূ সাহিদা বেগমের (২৩) স্বামী রেজাউল করিমকে (৩৫) এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে শাহিদা বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রেজাউল করিমের। এর এক পর্যায়ে রেজাউল করিম ঘরে থাকা বটি দিয়ে স্ত্রী সাহিদা বেগমের গলায় কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সাহিদা। ঘটনার পর এলাকাবাসী রেজাউল করিমকে আটকে রেখে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/নুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ গ ল পগঞ জ হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।