চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
Published: 4th, October 2025 GMT
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন কমিশনের সদস্যরা। বিশেষত রবিবার অনুষ্ঠেয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের মুলতবি সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে সেগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে ইতোপূর্বে বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত মতামত ও পরামর্শসমূহ পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি, এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া অভিমতও পুনঃবিশ্লেষণ করা হয়।
বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড.
এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভায় অংশ নেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কীভাবে হবে, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে ‘যুগান্তকারী’ অভিহিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে দলটি বলছে, এই রায়ের পর এই প্রশ্ন সামনে এসেছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ত্রয়োদশ সংশোধনীর মতো করে হবে, নাকি জুলাই সনদে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে গঠিত হবে। এই অস্পষ্টতা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে জুলাই সনদের ব্যত্যয় করার সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দলের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচন করেছিল হাসিনা সরকার। এর মধ্য দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় যুগান্তকারী উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের আমলে দেওয়া কলঙ্কজনক রায় থেকে দেশের বিচার বিভাগ ও জাতি মুক্তি লাভ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছিলাম, দেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। জুলাই সনদে এ ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু জুলাই সনদের আদেশে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ত্রয়োদশ সংশোধনীর মতো করে হবে, নাকি জুলাই সনদে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে গঠিত হবে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ের পর এই প্রশ্ন সামনে এসেছে বলে উল্লেখ করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই অস্পষ্টতা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, জুলাই সনদে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে হবে। কিন্তু বিভিন্ন দল, বিশেষ করে বিএনপি ত্রয়োদশ সংশোধনীতেই ফিরে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু সেখানে যেভাবে এটা আছে, সেটা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নানা ধরনের সংকট তৈরি করেছে, এক–এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সেই জায়গায় শুধু বিচার বিভাগের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে জুলাই সনদে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে, সেভাবে গঠন করাই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি। এর ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।