চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামে পুকুরের পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু। এ সময় স্বজনেরা দেখতে পেয়ে দুজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার পর তারা অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

আজ রোববার বেলা একটার দিকে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় ইকরা (১৯ মাস) ও মো. ইয়ামিন (২)। ইকরা উপজেলার মিরামা গ্রামের জিশান তালুকদার ও কুলসুমা বেগমের মেয়ে। মো.

ইয়ামিন উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামের কাশেম কাজীর ছেলে। দুজন মামাতো ভাই–বোন।

ইকরার মা কুলসুমা বেগম জানান, তিনি গতকাল শনিবার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ দুপুরে ইকরা ও ভাইয়ের ছেলে ইয়ামিন উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখতে পান, দুজনই পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। দেরি না করে তিনি পুকুরে নেমে তাদের উদ্ধার করেন। পরে স্বজনদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসা শেষে দুজনই অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

কুলসুমা বেগম বলেন, ‘পানিতে পড়নের এট্টু পর পুকুরপাড়ে গেছিলাম। এলিগা তাগো বাঁচানো গেল। মরতে মরতেই বাঁইচা গেল তারা। হায়াত-মউত উপরওয়ালার হাতে। রাখে আল্লায় মারে কে।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজীব কিশোর বণিক বলেন, শিশু দুটি এখন শঙ্কামুক্ত। মা–বাবা ও স্বজনেরা একটু সচেতন থাকলে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।

তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবার আশা ছিল, ছেলে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবে, ফিরল লাশ হয়ে
  • ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
  • ৪০ বছর ধরে হেঁটে হেঁটে পত্রিকা বিলি করেন দেলোয়ার হোসেন