জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘যেগুলোতে মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, এ ধরনের মার্কা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকায় কীভাবে থাকে? এটা তো তাদের রুচিবোধের একটা প্রকাশ। এটা তাদের নিজেদেরই ঠিক করা উচিত। আমাদের কেন বলে দিতে হবে যে নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা-বেগুন-খাট-থালাবাটি এগুলো থাকতে পারে না। দেশে কী মার্কার অভাব পড়ছে? আমরা আশা করছি, তারা এটা সংশোধন করবে।’

রোববার সন্ধ্যার আগে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্কে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে সদর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘যেহেতু আইনগতভাবে এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে কোনো বাধা নেই এবং তারা (নির্বাচন কমিশন) এখন পর্যন্ত কোনো বাধা দেখাতে পারেনি, আমরা শাপলা প্রতীক ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা সর্বশেষ সাদা শাপলা ও লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে কিছু অ্যাড করতে হয়, এটুকু তারা করে দিতে পারে, আমাদের দ্বিমত থাকবে না।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, ‘এটা আমরা স্পষ্ট করে দেখতে পাচ্ছি, এখানে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে এবং এই আচরণটা অবশ্যই তারা প্রকাশ করছে তখন, যখন তারা কারও দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। স্বাধীন একটা প্রতিষ্ঠান কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করবে, এটা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। এটার জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হয়, অন্য কোনোভাবে মোকাবিলা করতে হয়, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সেটা মোকাবিলা করেই শাপলা মার্কা নিয়ে এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ হতে পারে, এখানে এমন হতে পারে যে দেশের কোনো সংস্থার বা কোনো প্রতিষ্ঠানের চাপে হতে পারে। এমনও হতে পারে, দেশের বাইরের কোনো সংস্থার বা বাইরের কোনো দেশের চাপে হতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করি, এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে বাইরের চাপটা মাইনর। আমরা এটা মনে করি, ভেতরে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলের হতে পারে, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের হতে পারে, চাপ আছে, যেই চাপের কারণে তারা এটা দিতে চাচ্ছে না। এ জিনিসটা একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই অন্যায় যদি তারা এনসিপির সঙ্গে করে, তাদের ওপরে আগামী নির্বাচনে এনসিপি কখনোই আস্থা রাখতে পারবে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

সাইফের ছক্কা বৃষ্টিতে আফগানিস্তান হোয়াইটওইয়াশ

ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি। 

শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারাল ভারত

শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান

২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি। 

বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।  

বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। 

আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।

স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন। 

সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ