মোস্তাফিজের সেরা দশ পারফরম্যান্স
Published: 6th, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। প্রথম উইকেট শহীদ আফ্রিদি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, দেশে ফিরে আকবর আলী
জিশান আলমকে কি ওই শট খেলতেই হতো? প্রথম ২ বলে ৬ রান পাওয়া বাংলাদেশ কি শেষ ৪ বলে আরও ৬ রান তুলতে পারত না? ৪ বলে ৬ রান তুলতে তো প্রতি বলে বড় শটের দরকার হয় না!
গত পরশু কাতারে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষ সুপার ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী এ নিয়ে কী বলছেন?
আজ সকালে কাতার থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকবর বলেছেন, কোনো দল সুপার ওভার খেলতে অভ্যস্ত নয়। ভারতের বিপক্ষে করা তাঁর শিশুতোষ ভুল নিয়েও কথা বলেন আকবর।
সেদিন সুপার ওভারে ৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম বলে হাবিবুর রহমান ১ রান নেন। দ্বিতীয় বলে আবদুল গাফফার ফিরতি ক্যাচ দেন পাকিস্তানি পেসার আহমেদ দানিয়ালকে। পরের বলে ওয়াইড থেকে আসে ৫ রান। বৈধ তৃতীয় বলে জিশান আলমকে বোল্ড করে দেন দানিয়াল। সুপার ওভারে বাকি ৩টি বল খেলতে পারলে ১০ রানের বেশি তোলার সম্ভাবনা থাকত বাংলাদেশের। এই টুর্নামেন্টে ইয়র্কার স্পেশালিস্ট হয়ে ওঠা রিপন মণ্ডলের বিপক্ষে ১০ থেকে ১২ রান তোলা সহজ হতো না পাকিস্তান ‘এ’ দলের। কিন্তু সংগ্রহ কম হওয়ায় পাকিস্তান ‘এ’ দলে সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয়।
সুপার ওভারের পারফরম্যান্স নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’
সেদিন সুপার ওভারের ব্যাটসম্যানদের সমন্বয় নিয়ে আকবর বলেন, ‘সুপার ওভারে সোহানকে (হাবিবুর) পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার) ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’
ফাইনাল জিততে না পেরে হতাশাও প্রকাশ করেছেন আকবর, ‘প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ থেকে সবাই একটু হতাশ, যেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি, এরপর সুভার ওভারে হারা সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেওয়ার, শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে বলতে হবে আমরা বেশির ভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল কম করলে বলতাম আমরা পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছি।’
এর আগে সেমিফাইনালেও ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে সুপার ওভার খেলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেদিন ম্যাচ সুপার ওভারে যায় আকবরের বোকামিতে। সেমিফাইনালে শেষ বলে ভারত ‘এ’ দলের লাগত ৪ রান। হার্শ দুবে বাউন্ডারি মারা চেষ্টা করলেও বল যায় লং অনে জিশানের হাতে। তিনি উইকেটকিপার আকবরের দিকে থ্রো করলেও ২ রান নেয় ভারত ‘এ’ দল।
এরপর হার্শকে রানআউট করতে আকবর বল স্টাম্পে মারলেও স্টাম্প না ভাঙায় কোনো ফিল্ডারও কাছে না থাকায় ভারত ‘এ’ দল সুযোগ পেয়ে তৃতীয় রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে। অথচ বল হাতে রেখে দিলেও বা হেঁটে গিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও ১ রানে জিততে পারত বাংলাদেশ। এ নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘ওই মোমেন্টে কী হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমি কেন করেছি, এটার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তবে যে ভুলটা আমি করেছি, ওটা অনূর্ধ্ব–১২–এর খেলোয়াড়েরাও করবে না।’