বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার
Published: 6th, October 2025 GMT
দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) অনুযায়ী এই রিজার্ভের পরিমাণ হলো ২৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
নিলামে ১০৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
পাচারের অর্থ উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ
আরিফ হোসেন জানান, আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দুই হাজার ৬৭৯ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৬৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ডলার।
যেখান ৫ অক্টোবর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দুই হাজার ৬৬২ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল তিন হাজার ১৫০ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল দুই হাজার ৬৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ১২৭ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল দুই হাজার ৬০৮ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ১০০ কোটি ৩১ লাখ ডলারে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল দুই হাজার ৫৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৫৯ কোটি ১৮ লাখ ৩০ ডলারে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৫৭ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ ডলারে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ শ র ম ট র জ র ভ র পর ম ণ ছ ল ত ন হ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
আরো পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়ল
রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে আকুর ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
এরপর কমলেও ১৭ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর ১৮ দিন পর তা অতিক্রম করে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ, যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/মেহেদী