বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বলেছেন, ‘এই দেশে দ্রব্যমূল্যের বোঝা সবচেয়ে বেশি যাঁরা বইছেন, তাঁরা আমাদের মা-বোন। নিরাপত্তাহীনতায় সবচেয়ে বেশি যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নারী। অন্যায়ের শিকারও সবচেয়ে বেশি নারী। তাই পরিবর্তনের প্রয়োজন তাঁরা সবচেয়ে গভীরভাবে অনুভব করেন। নারীর ভোট মানেই পরিবর্তনের ঘোষণা।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা মহিলা দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। হালুয়াঘাট পৌর শহরের অগ্রযাত্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এমরান প্রিন্সের সমর্থনে মিছিল করেন মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা।

সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। এবার নারীরা ভোট দেবে না; তারা আন্দোলন করবে, জাগরণ ঘটাবে, দেশ পরিবর্তন করবে। আসন্ন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় মহিলা দলের ভূমিকা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী। নারীদের অংশগ্রহণই এই নির্বাচনকে মানবিক, অংশগ্রহণমূলক ও পরিবর্তনমুখী করে তুলবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে নারী আজ নিরাপত্তাহীন, বঞ্চিত ও নিপীড়িত। এই বাস্তবতা নারী ভোটারদের পরিবর্তনের পক্ষে আরও দৃঢ় করে তুলছে। বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করে নারী শিক্ষা, ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। প্রতি পরিবারের মা তথা গৃহকর্ত্রীদের নামে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রীর একটি অংশ বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। বেকার শিক্ষিত যুবকদের বেকার ভাতা, বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও গরিব রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হবে।’

এমরান সালেহ আরও বলেন, নির্বাচনের দিনে লাইনে দাঁড়ানো প্রতিটি নারীই হবে পরিবর্তনের সৈনিক। নারীদের ভোটই দেশকে অন্যায়ের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে যাবে। অতীতে নারীদের অবস্থান সব সময় বিএনপির পক্ষে ছিল। এবারও ধানের শীষের পক্ষে থাকবে। নারীদের দৃঢ় অবস্থান ও সমর্থন সব বাধা ভেঙে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করবে।

উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শারমিনা খাতুনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে এমরান সালেহের স্ত্রী সৈয়দা আফরোজা এমরান, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমর ন স ল হ আহ ব য ক ব এনপ র উপজ ল সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করেছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। আর ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন রেলপথ অবরোধ করেন। এর মধ্যে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা রাত আটটার দিকে অবরোধ তুলে নিলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত পৌনে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন স্টেশন বাজার রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাঁরা দাবি করেন, প্রথমবার লিখিত পরীক্ষায় বসতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া বৈষম্যমূলক। এত কম সময়ে ১ হাজার ১০০ নম্বরের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব নয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সময় চাই, সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই’, ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি স্বৈরাচার’, ‘সবাই পায় ছয় মাস, আমরা কেন দুই মাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আকতার বলেন, ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর লিখিতের জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এটা অযৌক্তিক। আমরা শুধু যৌক্তিক সময় চাই।’

মেহেদি হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক সময়ের দাবিতে আন্দোলন করছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরীক্ষার্থীরা আমাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে। তবু পিএসসির অবস্থান একই রয়ে গেছে। আমরা চাই, পরীক্ষার সময় পেছানো হোক, যাতে সবাই সমানভাবে প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে ‘অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে তিন ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরীক্ষার্থীরা। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর ফলে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী তিস্তা ও মহুয়া এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের চলাচল বিঘ্নিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে আসেন। পরে তারা আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনের ওপর অবস্থান করেন।

৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রেলপথ অবরোধ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা 
  • সৌরভ শুরু করেছিলেন দুই হাজার টাকায়, এখন মাসে লাখ টাকার পণ্য বেচেন
  • সাড়ে ৮ ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা
  • ময়মনসিংহে রেললাইন অবরোধ অব্যাহত, দুর্ভোগ চরমে
  • বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ময়মনসিংহে ফের রেল অবরোধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
  • বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ
  • ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে
  • শ্রীপুরে ভূমিকম্পে আহত ২৯ জনের চিকিৎসা চলছে, কারখানার কার্যক্রম স্বাভাবিক