আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব খোস্ত প্রদেশে একটি বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে নয় শিশু এবং একজন নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার আফগান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, গুরবুজ জেলায় মধ্যরাতে এই হামলাটি ঘটে।

সাম্প্রতিক এই হামলা নতুন করে শত্রুতা শুরু করার ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি একটি সুতোয় ঝুলছে, আলোচনার অচলাবস্থার জন্য প্রতিটি পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে।

মুজাহিদ এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কাজী মীরের ছেলে ওয়ালিয়াত খানের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে। ফলস্বরূপ, নয়জন শিশু (পাঁচ ছেলে এবং চার মেয়ে) ও একজন নারী শহীদ হয়েছেন এবং তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

তিনি জানান, উত্তর-পূর্ব কুনার এবং পূর্ব পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে চারজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তান “সঠিক সময়ে যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে। ইসলামিক আমিরাত এই লঙ্ঘন ও অপরাধের তীব্র নিন্দা জানায় এবং পুনর্ব্যক্ত করে যে তার আকাশসীমা, ভূখণ্ড ও জনগণকে রক্ষা করা তার বৈধ অধিকার।” 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হামলায় নিহত তাবতাবাই কে, কীভাবে হিজবুল্লাহতে যোগ দিলেন

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহরতলিতে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তা হাইথাম আলী তাবতাবাইকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। প্রায় এক বছর আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তারপরও গতকাল রোববার হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ওই হামলা চালায় ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী প্রথমে তাবতাবাইকে হত্যার দাবি করে। পরে হিজবুল্লাহ থেকে তাঁর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চলা যুদ্ধে ইসরায়েল ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর হাইথাম আলী তাবতাবাইকে হিজবুল্লাহর ‘চিফ অব স্টাফ’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

হাইথাম আলী তাবতাবাই কে

তাবতাবাইয়ের জন্ম লেবাননে, ১৯৬৮ সালে। তাঁর বাবা ইরানি বংশোদ্ভূত এবং মা লেবানিজ। লেবাননের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রটি বলেছে, তিনি (তাবতাবাই) হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন না, তবে তিনি গোষ্ঠীর ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের’ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি সিরিয়া ও ইয়েমেনে হিজবুল্লাহর মিত্রদের সঙ্গে লড়াই করতে এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হাইথাম আলী তাবতাবাই ১৯৮০–এর দশকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন। তিনি হিজবুল্লাহর অভিজাত বাহিনী রাদওয়ান ফোর্সসহ বিভিন্ন বাহিনীতে একাধিক উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ইসরায়েল গত বছর লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে রাদওয়ান ফোর্সের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করেছিল।

গত বছরের যুদ্ধে তাবতাবাই হিজবুল্লাহর ‘অপারেশনস ডিভিশনের’ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধে অন্যান্য শীর্ষ কমান্ডাররা নিহত হলে তাবতাবাই ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়েছিলেন বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী আরও দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হাইথাম আলী তাবতাবাই চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুতি পুনর্গঠনের কাজে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত ছিলেন।

লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, অন্য শীর্ষ হিজবুল্লাহ কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাবতাবাইকে দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল এবং গত বছর তিনি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুনবৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ১৭
  • মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা : মানবিক গুণাবলির প্রশ্ন-১
  • মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্বতন্ত্র পরিদপ্তর যে কারণে জরুরি
  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • ইসরায়েলের হামলায় নিহত তাবতাবাই কে, কীভাবে হিজবুল্লাহতে যোগ দিলেন
  • মিশরে হামাসের প্রতিনিধি দল
  • ৪৪ দিনে ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল
  • ইউনিলিভারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৪ নভেম্বর
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৮