হাত–পা ঠান্ডা হয়ে আসা কি কোনো রোগের লক্ষণ
Published: 25th, November 2025 GMT
রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া
হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার সবচেয়ে প্রধান কারণ রক্ত সঞ্চালন দুর্বল হওয়া। রক্তনালির মধ্যে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে শরীরের দূরের অংশগুলো, যেমন হাত ও পা প্রথমে তাপ সরবরাহ কম পায়।
সম্ভাব্য কারণ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগ বা হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা।
অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাথাইরয়েড কমে গেলে শরীর তাপ উৎপাদনও কম হয়; সঙ্গে চুল পড়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে চাঁদা না পেয়ে কারখানায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৫
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গ্রিন বায়োটেকনোলজি নামের একটি কারখানায় চাঁদা না পেয়ে ফাঁকা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারী। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা গ্রামের জান্নাতুল হুমায়রা (২২), বরগুনার মরখালী গ্রামের মো. মাসুম (২৭), মেলান্দহের বাসুদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ সানি মিয়া (২২), একই উপজেলার বয়রাডাঙ্গা গ্রামের লিখন আহমেদ (১৯) ও একই গ্রামের মোশারফ মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে গেছে, আজ ভোরে একদল দুষ্কৃতকারী গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার সামনে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে। এরপর কারখানায় প্রধান ফটকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসী এগিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আগেও একাধিকবার কারখানাটিতে চাঁদা না পেয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের চেষ্টা করেছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আজ ভোরে পরিকল্পিতভাবে চিহ্নিত সস্ত্রাসীরা রড, হকিস্টিক, পেট্রলবোমা, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালায়। প্রথমে তারা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে কারখানার ফটকে ভাঙচুর করে। আগেও এই দলটি চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় মামলা করেছেন।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু মেলান্দহ নয়, বরং জামালপুর জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সারা দেশে কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শত শত পরিবার কারখানার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। অথচ কিছু দুষ্কৃতকারীর অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কারখানা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না হলে উদ্যোক্তারা উপজেলা শহরে প্রতিষ্ঠান করতে নিরুৎসাহিত হবেন।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাস বলেন, অস্ত্রধারী একদল চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কারখানায় হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটকের সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের কাজেও বাধা দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।