চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
Published: 7th, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধুনাঘাট ব্রিজ এলাকায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৬৫) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তাকে গুলি করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় হামিম এগ্রো গরুর খামাারের স্বত্বাধিকারী।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় গৃহবধূকে হত্যা: স্বামী-সতীনসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সন্তানকে কুপিয়ে পুকুরে ফেলে হত্যা করলেন বাবা
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুইয়া গুলি করে হত্যা করার তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে মধুনাঘাট ব্রিজ এলাকায় নিজের প্রাইভেটকারে বসে ছিলেন আবদুল হাকিম। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল হাকিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। তবে তার পদ-পদবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওসি মনিরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, কী কারণে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে, সেই বিষয়ে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব এনপ ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
লিও তলস্তয়ের গ্রামে
আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।
তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।
লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।
ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম, তখন রোদ ঝলমল করছে। গত কয়েক দিন খুব বৃষ্টি পড়েছে মস্কো শহরে। মস্কো থেকে আমাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। সরাসরি মস্কো থেকে তলস্তয়ের গ্রামে আসার কোনো ট্রেন বা বাস নেই। আমাকে ট্রেনে করে আসতে হয়েছে প্রথমে তুলা শহরে৷
ট্রেনে করে আসার পথে রাশিয়ার সবুজ গ্রামের যে রূপ আমি দেখেছি, তার তুলনা হয় না। পথের পাশে ফুটে আছে হলুদ বুনো ফুল আর হঠাৎ হঠাৎ করে একটা বা দুটো দোচালা বাড়ি। মাঝে পড়ে গেল একটা নদী, আবার এসে গেল ঘন সবুজ জঙ্গল। এমন অসামান্য প্রকৃতি যে দেশের আছে, সে দেশের প্রতি এমনিতেই মায়া জন্মে যায়।
রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তলস্তয় জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’।মাঝখানে ধূসর লম্বা পথ আর দুপাশে ঘন বনানী