দেশের অর্থনীতির গতি উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে। আগের মাসে বাড়লে পরের মাসে আবার কমছে। যেমন গত জুলাইয়ে অর্থনীতির গতি বাড়লেও আগস্টে কিছুটা কমেছে। আবার সেপ্টেম্বরে সামান্য বেড়েছে। তবে অর্থনীতি সম্প্রসারণের ধারায় রয়েছে।

পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্সের (পিএমআই) সার্বিক মান গত জানুয়ারিতে ছিল ৬৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট। পরের তিন মাসে পিএমআই মান ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এরপর মে মাসে বেড়ে তা দাঁড়ায় ৫৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট। জুনে আবার কমে। জুলাইয়ে পিএমআই মান বেড়ে ৬১ দশমিক ৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়, আগস্টে কমে ৫৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে নামে এবং সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৫৯ দশমিক ১ পয়েন্টে উঠেছে।

পিএমআইয়ের সার্বিক মান গত সেপ্টেম্বরে সামান্য উন্নতির পেছনের কারণ হচ্ছে, কৃষি ও নির্মাণ খাতের সূচক সংকোচনের ধারা থেকে বের হয়ে সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। পণ্য উৎপাদন খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণের গতি বেড়েছে। যদিও সেবা খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণের গতি আগস্টের তুলনায় কমেছে।

ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের শতবর্ষের পুরোনো সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই) ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ যৌথভাবে পিএমআই প্রণয়ন করে। আজ মঙ্গলবার এটি প্রকাশ করা হয়।

অর্থনীতির প্রধান খাত কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন ও সেবা খাতের ৪০০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে পিএমআই প্রকাশ করা হয়। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয়, পণ্যের ক্রয়াদেশ, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মূলত পিএমআই শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে পরিমাপ করা হয়। সূচকের মান ৫০-এর বেশি হলে অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং ৫০-এর নিচে হলে সংকোচন বোঝায়।

উৎপাদন খাতে ১৩ মাস ধরে সম্প্রসারণ চলছে। গত মাসে সম্প্রসারণের গতি বেড়েছে। এই খাতে নতুন ক্রয়াদেশ, রপ্তানি, কারখানার কাঁচামাল ক্রয়, উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহের সূচকগুলো সম্প্রসারণ ধারায় আছে। গত আগস্টে উৎপাদন খাতের সূচকের মান ছিল ৬০ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা গত মাসে বেড়ে হয়েছে ৬৫ পয়েন্ট।

নির্মাণ খাতে জুলাইয়ে সম্প্রসারণের পর আগস্টে আবার সংকুচিত হয়। তবে সেপ্টেম্বরে আবার সম্প্রসারণে ফিরেছে। আগস্টে এই খাতের সূচক ছিল ৪৯ পয়েন্ট। গত মাসে সেটি বেড়ে হয় ৫৫ দশমিক ১ পয়েন্ট। নির্মাণ খাতে নতুন ব্যবসা, নির্মাণ কার্যক্রম ও ইনপুট খরচের সূচকে সম্প্রসারণ হয়েছে। কর্মসংস্থান সূচক টানা চার মাস সংকোচনের পর গত মাসে সম্প্রসারণে ফিরেছে।

সেবা খাত টানা ১২ মাস ধরে সম্প্রসারণ ধারায় আছে। আগস্টে সেবা খাতের সূচক ছিল ৬১ দশমিক ৩ পয়েন্ট। সেপ্টেম্বরে কমে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট।

এদিকে কৃষি ব্যবসা খাতে গত মাসে আবার সম্প্রসারণ হয়েছে। গত আগস্টে কৃষি ব্যবসার সূচক ছিল ৪৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৫০ দশমিক ৩।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, পিএমআইয়ের ফলাফল ইঙ্গিত করছে যে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সামান্য সম্প্রসারিত হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি ও নতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধির কারণে কৃষি ও নির্মাণ খাত আবার সম্প্রসারণে ফিরেছে। অন্যদিকে সেবা খাতে কিছুটা ধীরে সম্প্রসারণ হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর প এমআই গত ম স ব যবস দশম ক আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

নিম-হলুদ কী সত্যিই ত্বকের জন্য ভালো?

নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ উপাদান।, যা ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে। হলুদ ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের জন্য নিম ও হলুদ দারুণ উপকারী দুইটি উপাদান।এই দুটি উপাদান একসাথে ব্যবহার করলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়।

ত্বক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে
নিমে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। আর হলুদের প্রদাহরোধী প্রভাব লালভাব ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:

ইডিপাস: না জেনে নিজের মাকে বিয়ে করেছিলেন

‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয় যে পাখিকে

উজ্জ্বল ত্বক
হলুদ ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে পারে। এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। নিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।  

নিম-হলুদের ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন
১ টেবিল চামচ নিমপাতার গুঁড়া বা নিমপাতা বাটার সঙ্গে  আধা চা চামচ হলুদ বাটা, পরিমাণমতো গোলাপ জল আর ১ চা চামচ মধু বা টক দই মিশিঠে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন ফেসপ্যাক
ফেস প্যাকটি মুখে লাগানোর আগে হালকা কোনো ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তরপরে পরিষ্কার হাত বা ব্রাশের সাহায্যে প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে। 

সপ্তাহে একদিন নিম-হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এসব উপাদান ব্যবহারের পরে ত্বকে এলার্জি দেখা দিলে- ব্যবহার করা বন্ধ করুন। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ