জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জুলাই সনদের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান বিষয় দেখার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বর্তমান সরকারের অনেকে মনে করছেন নির্বাচন দিয়ে সমাধান। যদি জুলাই সনদের যথাযথ বাস্তবায়ন না হয়, আমরা এই বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান বিষয় না দেখতে পাই; তাহলে সংকট আরো বাড়বে।’’ 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফুড ক্লাবে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও বিচার, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় যেতে চাই। আগামী নির্বাচনে এনসিপি শক্তিশালী জায়গায় তাদের সাংগঠনিক দক্ষতায় অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে আগামী সংসদে। এটাই আমাদের প্রত্যশা।’’ 

এনসিপির প্রতীক ‘শাপলা’ নিয়েও তিনি দলের দৃঢ় প্রত্যাশার কথা জানান। সারজিস আলম বলেন, ‘‘প্রতীক নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা নেই এবং দলটি অবশ্যই শাপলা প্রতীক পাবে।’’ 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা করব, নির্বাচন কমিশন দেশের স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করবে না। কারো প্রভাবে প্রভাবিত হবে না।’’ 

সারজিস সতর্ক করে দেন, ‘‘যদি ইসি কারো প্রভাবে প্রভাবিত হয়, তবে তারা নির্বাচন করার গ্রহণযোগ্যতাই হারিয়ে ফেলবে।’’ 

তার আশা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এনসিপির প্রতীক ‘শাপলা’ ঘোষণা আসবে। 

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে চাই।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা জেলায় গিয়ে জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে গঠন করতে চাই। আমরা যদি এ লক্ষ্য পূরণ করতে পারি, তাহলে এনসিপি দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্ত অবস্থানে থাকবে।’’ 

এ সময় এনসিপির রাজশাহীর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান সমন্বয়কারী আলাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/শিয়াম/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প র গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সারাকে ‘অসাধারণ’ বললেন রণবীর

আদিত্য ধরের নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’–এর ট্রেলার সাড়া ফেলেছে। রণবীর সিং, অক্ষয় খান্না, আর মাধবন, সঞ্জয় দত্ত ও অর্জুন রামপাল—সবাই আছেন এক ফ্রেমে। এই প্রথম বড় পর্দায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে একসময়ের শিশুশিল্পী সারা অর্জুন। গত জুলাইয়ে রণবীরের জন্মদিনে প্রথম ঝলক প্রকাশের পর থেকেই ছবিটি আলোচনায় ছিল; ট্রেলার সেই আলোচনাকে আরও তীব্র করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের বাস্তব কাহিনি অবলম্বনে তৈরি ‘ধুরন্ধর’ বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবি—এমনটাই বলছেন সমালোচকেরা। ছবিতে রণবীর, অর্জুন ও মাধবনকে নতুন রূপে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা–কুরলা কমপ্লেক্সের নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয় ট্রেলার। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাকেশ বেদি, অর্জুন রামপাল, আর মাধবন, রণবীর সিং, সারা অর্জুন, পরিচালক আদিত্য ধর ও প্রযোজক লোকেশ ধর। ছবিতে ৪০ বছর বয়সী রণবীরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তাঁর চেয়ে ২০ বছরের ছোট সারা অর্জুন; ঘোষণা আসার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। তবে ট্রেলার দেখে দর্শক দুজনের পর্দার রসায়ন ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন।

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সহ–অভিনেত্রী সারা অর্জুনকে প্রশংসায় ভাসান রণবীর সিং। কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েই ধুরন্ধর-এ এসেছে সারা অর্জুন। রণবীর জানান, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেয়ের অডিশন নিয়েছিলেন; তাঁদের মধ্যে থেকেই সারা নির্বাচিত হন—‘সারা ছিলেন সেরাদের সেরা।’ তিনি বলেন, ‘সারা, আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমরা আজ এই মঞ্চে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। আমি জানি তোমার জন্য এটি খুবই বিশেষ মুহূর্ত, আর এর অংশ হতে পেরে আমি নিজেও সম্মানিত।’

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিম ধুরন্ধর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ