বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার ছাড়াল
Published: 8th, October 2025 GMT
বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন ইতিহাস গড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই প্রথম প্রতি আউন্স সোনার দাম চার হাজার ডলার ছুঁয়েছে। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিশ্ব অর্থনীতির ধীরগতি, যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদ কমার সম্ভাবনা—সব মিলিয়ে এই নিরাপদ সম্পদের দিকে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বেড়েছে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনা বেড়ে যাওয়া, স্বর্ণনির্ভর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা, খুচরা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ—এসব কারণে সোনার দামের এই উল্লম্ফন। বাণিজ্যযুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনাকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে ১৯৮৬ সালের পর চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সোনার দাম সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। খবর সিএনএনের
অর্থনীতিবিদদের মতে, কম সুদের হার ও অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশে সোনার দাম সাধারণত বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে সোনা নির্ভরযোগ্য রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। কেননা, মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সোনার দাম কমে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন থাকায় ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা এখন সরকারি অর্থনৈতিক তথ্য পাচ্ছেন না। ফলে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপ অনুমান করার চেষ্টা করছেন। বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ১ চতুর্থাংশ পয়েন্ট কমাতে পারে। শুধু তা–ই নয়, ডিসেম্বরেও তারা নীতি সুদহার কমাতে পারে।
স্করপিয়ন মিনারেলসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মাইকেল ল্যাংফোর্ড সিএনএনকে বলেন, মার্কিন ডলারের মান আরও কমতে থাকলে আগামী ছয় মাসে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
শতকোটিপতি বিনিয়োগকারী কেন গ্রিফিন অবশ্য এ প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘ডলারের চেয়ে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার উত্থান উদ্বেগজনক। মানুষ এখন নিজেদের সম্পদ ডলারের প্রভাব থেকে দূরে রাখতে বা ঝুঁকি কমাতে চাইছে।
এদিকে বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস গত সোমবারের পূর্বাভাসে সোনার দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের জন্য তাদের পূর্বাভাস ৪ হাজার ৩০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৯০০ ডলার করেছে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেপ্টেম্বরে টানা একাদশ মাসের মতো তাদের রিজার্ভের জন্য সোনা কিনেছে বলে জানা গেছে।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গতকাল বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ৫৪ দশমিক ৬৩ ডলার। গত এক মাসে বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ৩০৮ দশমিক ৯৭ ডলার। গত ছয় মাসে সোনার দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ বা ৮৬৯ দশমিক ৪৪ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ বা আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩৪৩ দশমিক ৭২ ডলার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিম-হলুদ কী সত্যিই ত্বকের জন্য ভালো?
নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ উপাদান।, যা ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে। হলুদ ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের জন্য নিম ও হলুদ দারুণ উপকারী দুইটি উপাদান।এই দুটি উপাদান একসাথে ব্যবহার করলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়।
ত্বক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে
নিমে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। আর হলুদের প্রদাহরোধী প্রভাব লালভাব ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন:
ইডিপাস: না জেনে নিজের মাকে বিয়ে করেছিলেন
‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয় যে পাখিকে
উজ্জ্বল ত্বক
হলুদ ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে পারে। এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। নিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
নিম-হলুদের ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন
১ টেবিল চামচ নিমপাতার গুঁড়া বা নিমপাতা বাটার সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ বাটা, পরিমাণমতো গোলাপ জল আর ১ চা চামচ মধু বা টক দই মিশিঠে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন ফেসপ্যাক
ফেস প্যাকটি মুখে লাগানোর আগে হালকা কোনো ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তরপরে পরিষ্কার হাত বা ব্রাশের সাহায্যে প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে।
সপ্তাহে একদিন নিম-হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এসব উপাদান ব্যবহারের পরে ত্বকে এলার্জি দেখা দিলে- ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
ঢাকা/লিপি