কিছু উপদেষ্টা "সেফ এক্সিট’ নিতে চাচ্ছে বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটির বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

শাপলাই কেন লাগবে, যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি

নির্বাচনে এনসিপি সব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে: নাহিদ

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটা উনি (নাহিদ ইসলাম) অভিমান থেকে বলেছেন, নাকি উনার কোনো একটা ব্যাপারে গ্রিভেন্স আছে, এ বিষয়গুলো পরিষ্কার উনাকে করতে হবে.

..তাকে তার বক্তব্যকে সাবসটেনশিয়েট করতে হবে।”

সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করলে তখন সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানান তিনি।

“সেফ এক্সিটের’ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরে পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না।”

“এর আগেও বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা এসেছে। ওই সব ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশে থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে যাবো আপনাদের সাথে,” সাংবাদিকদের বলেন উপদেষ্টা হাসান।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ওসব উপদেষ্টা নিজেদের "সেফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

দলের আহ্বায়কের এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলমও একই অভিযোগ তুলেছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম উপদ ষ ট স ফ এক স ট উপদ ষ ট র জওয এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

ফারিয়া কেন ‘নোংরা’ মন্তব্যের শিকার?

কিছু দিন আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। আপাতত স্বামীর সঙ্গে সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ফারিয়া। আনন্দে কাটানো মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করছেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা। 

একটি ছবিতে দেখা যায়, রাতের শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে শবনম ফারিয়া। তার চোখে-মুখে আনন্দের ঢেউ। পরনে শর্টস, গায়ে টি-শার্ট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছবিটিতে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ৫৬ হাজার, শেয়ার হয়েছে ২৪৬টি। মন্তব্য পড়েছে ৫ হাজার ৬০০টি। এসব মন্তব্যের অধিকাংশই ‘নোংরা’ ভাষায় করা হয়েছে; যা নিয়ে চলছে আলোচনা।  

আরো পড়ুন:

ব্যাচেলর পয়েন্ট: অবশেষে ফিরছেন নেহাল

দিতিপ্রিয়ার অস্ত্রোপচার

কামরুল ইসলাম নামে একজন কাটাক্ষ করে লেখেন, “বুঝতে হবে, হাজী পরিবারের মেয়ে।” আরিফুল ইসলাম লেখেন, “বয়স হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়। নৈতিকতা পরিবর্তন হয়, আদর্শ পরিবর্তন হয়। আপনার তো দেখি সবকিছু তার উল্টা করছেন আপু।” জারা তাবাসসুম লেখেন, “আন্টি তার আসল রূপে ফিরেছেন।” সাফি মাসুক লেখেন, “মসজিদে বিয়ে করে, হানিমুনে গিয়ে হাফ প্যান্ট পরে বিদেশের মাটিতে ঘুরার যে ব্যাপারটা।” 

অন্য একজন ফারিয়ার কড়া সমালোচনা করে লেখেন, “আপনারা অভিনেত্রী বলে যা পরেন তাই সাপোর্ট করব, আপনি নিজেই দেখেন কেমন লাগে। আরে আমার ছেলের ৬ বছর, সেও তো এই হ্যাফ প্যান্ট পরতে চায় না, গরমের দিনেও বাসায় পরাতে পারি না, বাসার থেকে নিচে নামলেও জিন্স প্যান্ট, আর যদিও জোর করে বাসায় পরাই তাতে হাঁটুর ওপরে যাতে না ওঠে তাই টানতে টানতে ১ মাসেই ছিড়ে ফেলে। আর আপনি আমগো চাঁদপুর মতলবের মাইয়া অইয়া এইডা কি পরলেন, আল্লাহতায়ালা আপনাকে হিদায়ত দেক।” ফয়সাল আহমেদ পাপ্পু লেখেন, “অসাধারণ। দেশের বাইরে গেলে হাফ প্যান্ট আর দেশে থাকলে সত্যবাদী সাহসী। আর আমরা কিছু লিখলেই খারাপ।” 

সাইদুর রহমান লেখেন, “দেশি মাইয়া বিদেশে গেলেই কাপড় ছোট হয়ে যায়।” ফারিয়ার বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কটাক্ষ করে জাহিদুল লেখেন, “বিয়ের নামে মক্কেল ধরবে একটা একটা, তারপর শুধু বিদেশ ট্যুর, এরপর ডিভোর্স দিয়ে টাকা। ব্যাবসা ভালোই চলে।” আমিজম নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে থাকলে বোরকা পরে, বাহিরে গেলেই হাপ পেন্ট পরে।” তাছাড়া অসংখ্য মন্তব্য রয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। তবে নেটিজেনদের অনেকে ফারিয়ার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেও মন্তব্য করেছেন।   

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ফারিয়া। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ