বেশ অনেক দিন পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আবারও আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কিছু ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে তাঁর ওই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তেমনি কিছু প্রশ্ন ও উদ্বেগও তৈরি করেছে।

ওই সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘.

..অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে অথবা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিট্রে (প্রতারণা) করেছে। যখন সময় আসবে, তখন আমরা এদের নামও উন্মুক্ত করব।’ (‘উপদেষ্টাদের অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে’, নাহিদ ইসলামের এ বক্তব্য নিয়ে আলোচনা, প্রথম আলো অনলাইন, ৫ অক্টোবর ২০২৫)

আরও পড়ুনকোথায় দাঁড়িয়ে আছে অন্তর্বর্তী সরকার২৬ জুলাই ২০২৫

সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে।’... (প্রথম আলো অনলাইন, ৫ অক্টোবর ২০২৫)

নাহিদ ইসলামের এই সাক্ষাৎকার থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সম্পর্কে মোটাদাগে দুটি ‘অভিযোগ’ পাওয়া যায়। এক. অনেক উপদেষ্টা সরকারে থাকার সুবাদে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন; দুই. উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনের পর নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। এই দুটি অভিযোগ দুই ধরনের এবং এগুলোর তাৎপর্যও আলাদা।

২.

‘অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে’—এ কথার মাধ্যমে নাহিদ ইসলাম আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন, ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সেটা স্পষ্ট করে বলেননি। এমনকি তিনি ‘আখের গোছানো’ উপদেষ্টাদের নামও উল্লেখ করেননি। যা-ই হোক, ‘আখের গোছানো’ কোনো ইতিবাচক শব্দ নয়। প্রচলিত অর্থে ‘আখের গোছানো’ বলতে বোঝায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ; কখনো কখনো এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুর্নীতির মধ্যেও পড়ে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নাহিদ ইসলাম কি তাঁর বক্তব্যে উপদেষ্টাদের ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা দুর্নীতি নিয়ে কোনো ইঙ্গিত দিলেন?

বাংলাদেশের পটভূমিতে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ওঠা খুব সহজ ব্যাপার নয়। তবে কোনো কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে সরিয়ে দেওয়াও হয়েছে। (‘সরিয়ে দেওয়া হলো দুই উপদেষ্টার দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে’, প্রথম আলো অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)

আরও পড়ুন১০–এ কোন উপদেষ্টা কত নম্বর পাবেন১৯ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষণীয় হলো, দুই উপদেষ্টার (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম) আলোচিত দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং তাঁদের অনিয়ম নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্তও করা হয়নি। এর ফলে ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অনিয়মের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের কোনো দায় আছে কি না, সেটা উদ্‌ঘাটন করা বা জানা সম্ভব হয়নি।

৩.

‘আখের গোছানো’ বলতে নিজের বা নিজের আত্মীয়স্বজন, এমনকি নিজের এলাকার জন্য বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়াকেও বোঝানো হয়ে থাকে।

সম্প্রতি এ রকম একটি বিষয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কুমিল্লার সড়ক ও অন্যান্য গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামত ও উন্নয়নে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আসিফ মাহমুদের নিজ উপজেলা মুরাদনগরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর উপজেলা দেবীদ্বারে। (‘উপদেষ্টা আসিফ ভুঁইয়ার কুমিল্লাপ্রীতি, নিলেন ২৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প’, প্রথম আলো অনলাইন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫)

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর সাক্ষাৎকারে অনেক উপদেষ্টার ‘আগের গোছানো’ নিয়ে কথা বললেও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সেই তালিকায় তাঁর সাবেক সহকর্মী (আসিফ মাহমুদ) এবং তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নামও এসেছে। এদের ‘আখের গোছানোর’ দায় কি তিনি এড়াতে পারেন?

এসব বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? প্রশ্ন ওঠার কারণ হলো প্রথমত, এটা হচ্ছে ‘বিশেষ’ প্রকল্পের বরাদ্দ। দ্বিতীয়ত, প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে। আসিফ মাহমুদ ও হাসনাত আবদুল্লাহ দুজনেই তাঁদের এলাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন, এলাকাবাসী তেমনটাই ধারণা করছেন। এর ফলে এই বরাদ্দের সঙ্গে তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্পর্কটি খুবই স্পষ্ট। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ক্ষেত্রে এটা শুধু ‘আখের গোছানো’, নাকি একই সঙ্গে তা ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ (স্বার্থের সংঘাত)—এই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

‘আখের গোছানোর’ আরেকটি উদাহরণ হতে পারে, সম্প্রতি দুটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের (টিভি) লাইসেন্স পাওয়ার ঘটনাটি। অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া নতুন দুটি টিভির একটির অনুমোদন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান (তুহিন)। আরেকটি টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান; তিনি এনসিপির পূর্বতন সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুনপ্রশাসনে ‘সুনামি’ ও এক অ–ভিআইপি উপদেষ্টা২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা ও চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা আরিফুর রহমান (তুহিন) ও আরিফুর রহমানের আছে কি না, সে প্রশ্ন রয়েছে। কী বিবেচনায় তাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। তবে উত্তর পাওয়া যায়নি। (‘পুরোনো প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স’, প্রথম আলো, ৭ অক্টোবর ২০২৫)

ওই দুই ব্যক্তির নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়ার ঘটনা নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ‘এটার মধ্য দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধ হয় প্রকাশ পেয়েছে। ...এই সরকারের সময় আমরা দেখেছ পুরোনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল—এগুলো চলছে।’ (‘এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের’, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ৮ অক্টোবর ২০২৫)

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর সাক্ষাৎকারে অনেক উপদেষ্টার ‘আগের গোছানো’ নিয়ে কথা বললেও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সেই তালিকায় তাঁর সাবেক সহকর্মী (আসিফ মাহমুদ) এবং তাঁর দলের নেতার নামও এসেছে। এদের ‘আখের গোছানোর’ দায় কি তিনি এড়াতে পারেন?

৪.

উপদেষ্টাদের সম্পর্কে নাহিদ ইসলামের আরেকটি ‘অভিযোগ’ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরা নির্বাচনের পর নিজেদের ‘সেফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন। বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে অভিযোগটি অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ এবং সেই কারণে এটা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বেশি। উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক’ বলে মন্তব্য করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। (‘উপদেষ্টাদের ‌“সেফ এক্সিট” নিয়ে যা বললেন শারমীন এস মুরশিদ’, ৭১ টিভি অনলাইন, ৬ অক্টোবর ২০২৫)

‘রাজনৈতিক’ বলে নাহিদ ইসলামের এ বক্তব্যকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, নাহিদ ইসলামের ওই বক্তব্যের পর তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা সারজিস আলম উপদেষ্টাদের সম্পর্কে আরও ‘আক্রমণাত্মক’ মন্তব্য করেন। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপদেষ্টাদের সম্পর্কে বলেন, ‘...আমরা মনে করি দেশের মানুষের সামনে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না। কোথায় সেফ এক্সিট নেবেন, পৃথিবীতে সেফ এক্সিট নামের একটাই জায়গা, সেটা হচ্ছে মৃত্যু। এ ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তে যান, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’ (‘মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম’, প্রথম আলো অনলাইন, ৮ অক্টোবর ২০২৫)

নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলমের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এনসিপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে তত বেশি অসহিষ্ণুতা ও অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এ কারণেই কি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করছেন? উপদেষ্টারা কি এনসিপির নেতাদের বিশেষ কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? বর্তমান বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে কি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না?

আরও পড়ুনঅন্তর্বর্তী সরকার কতটা সবার হতে পারছে২৬ মে ২০২৫৫.

উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা ‘নিজেদের আখের গুছিয়েছেন’ এবং কারা ‘সেফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন, নাহিদ ইসলাম সেটা স্পষ্ট করেননি। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা বা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চান, সেটা নাহিদ ইসলামকে পরিষ্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। (‘নাহিদকে পরিষ্কার করতে হবে, কারা সেফ এক্সিট চায়: রিজওয়ানা হাসান’, যুগান্তর অনলাইন, ৮ অক্টোবর ২০২৫)

নাহিদ ইসলাম কি ‘নিজেদের আখের গোছানো’ এবং ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চাওয়া উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ করবেন? লক্ষণীয় হলো, এটা এখন শুধু নাহিদ ইসলাম-সারজিস আলম অর্থাৎ এনসিপির আর উপদেষ্টাদের মধ্যকার ‘দ্বিপক্ষীয়’ কোনো বিষয় নয়; দেশের রাজনীতিসচেতন মানুষেরাও এতে ইনভলভ হয়ে পড়েছেন। তাঁরা আসল ঘটনাটা জানতে চান। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে ‘নিজেদের আখের গোছানো’ এবং ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চাওয়া সবার নাম দ্রুতই প্রকাশ করা হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র উপদ ষ ট দ র ন হ দ ইসল ম র উপদ ষ ট দ র স অন ক উপদ ষ ট আর ফ র রহম ন স ফ এক স ট ন উপদ ষ ট র কর মকর ত প রথম আল র জন ত ক এনস প র সরক র র প রকল প বর দ দ প রক শ ন র জন মন ত র দ র অন ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ডহোল্ডাররা পেলেন পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন

পুঁজিবাজারে বন্ড খাতে তালিকাভুক্ত পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের অর্ধবার্ষিকীর ঘোষিত কুপন বা মুনাফা বন্ডহোল্ডারদের (ইউনিটহোল্ডার) দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মেয়াদের জন্য এ কুপন রেট ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিলেন ওয়াজিদ

নগদ লভ্যাংশ দিল মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স

পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ট্রাস্টি কমিটি চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকী (২৩ মার্চ, ২০২৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) পর্যন্ত সময়ের জন্য ১০ শতাংশ কুপন হারে রিটার্ন (মুনাফা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। বন্ডটির মুনাফাপ্রাপ্তির রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ১১ সেপ্টেম্বর।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না.গঞ্জ সদরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৮ অক্টোবর ২০২৫)
  • এনটিআরসিএর ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান তথ্য পাঠানোর সময় ঘোষণা
  • ঢাকা বোর্ডের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শুরু, চলবে ৬ দিন
  • জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ
  • মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর, মানবিক গুনাবলী যাছাইয়ে আসবে প্রশ্ন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৭ অক্টোবর ২০২৫)
  • ব্রিটসের রেকর্ডভাঙা সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জয়
  • বন্ডহোল্ডাররা পেলেন পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন