শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) শিক্ষকেরা। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ডিন শ্রীকান্ত এম দাতার জানিয়েছেন, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্প্রেডশিটসহ নানা ধরনের কাজের দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

হোমওয়ার্ক মূল্যায়নে দ্রুত ফিডব্যাক

শ্রীকান্ত এম দাতার বলেন, ‘শুধু হোমওয়ার্ক মূল্যায়ন নয়, আমরা আরও অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে এআই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’ তিনি ‘Foundry’ নামের একটি এআই প্ল্যাটফর্মের কথাও তুলে ধরেন। এটি উদ্যোক্তাদের জন্য হার্ভার্ডের বাইরে থেকেও এইচবিএসের উদ্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কনটেন্ট ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। দাতারের ভাষায়, এটি মানুষের, ধারণার ও সম্পদের মধ্যে একটি ‘সংযুক্ত কমিউনিটি’ গড়ে তুলছে। তিনি আরও বলেন, এআইয়ের অগ্রগতি শিক্ষাদান ও গবেষণাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। ‘প্রতিবারই মনে হয় কিছু করা যাবে না, অথচ নতুন মডেল দেখায় সেটা সম্ভব’ যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক রোবট প্রচলনে গবেষণা করছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাইফুল ৫ ঘণ্টা আগে

এআই, শিক্ষাদান ও গবেষণার নতুন মাত্রা

এইচবিএসের অন্য কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এআই শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতাকে শুধু বদলাচ্ছে না; বরং সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। ফ্রিটজ জর্ডান কখার বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া মতামতকে এআই বিশ্লেষণ করে শিক্ষকদের জন্য কার্যকর তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি ক্রিস্টেনসেন সেন্টারের কাজকে সহজ করছে।

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের সদস্য ম্যাথিউ নেগ্রি বলেন, এআই শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতার—চকবোর্ড, পরিবেশ, শিক্ষক কোনোটির বিকল্প নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে শেখে, আর এআই সারা দিনে সাহায্য করতে পারে।’

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫

৩০ শতাংশ নীতি

এমবিএ প্রোগ্রামের সিনিয়র সহযোগী ডিন সেডাল নিলি বলেন, এআই ও পরিবর্তন একসঙ্গে চলে। তিনি ‘৩০ শতাংশ নীতি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুরো এআই শিখতে হবে না, মৌলিক ধারণার প্রায় ৩০ শতাংশ বোঝাই যথেষ্ট। অনেকে ভাবেন, এআই একটি বিশাল মহাসাগর। আসলে এটি এক ‘নির্বাচিত পুকুর’। এই পুকুর বোঝার পর শিক্ষার্থীরা এআইকে কাজে লাগাতে, অবদান রাখতে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে।’

ভবিষ্যতের শিক্ষা ও গবেষণায় এআই

এইচবিএসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, শিক্ষাদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততায় এআই আরও বড় ভূমিকা নিতে যাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তন০৫ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) শিক্ষকেরা। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ডিন শ্রীকান্ত এম দাতার জানিয়েছেন, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্প্রেডশিটসহ নানা ধরনের কাজের দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

হোমওয়ার্ক মূল্যায়নে দ্রুত ফিডব্যাক

শ্রীকান্ত এম দাতার বলেন, ‘শুধু হোমওয়ার্ক মূল্যায়ন নয়, আমরা আরও অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে এআই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’ তিনি ‘Foundry’ নামের একটি এআই প্ল্যাটফর্মের কথাও তুলে ধরেন। এটি উদ্যোক্তাদের জন্য হার্ভার্ডের বাইরে থেকেও এইচবিএসের উদ্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কনটেন্ট ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। দাতারের ভাষায়, এটি মানুষের, ধারণার ও সম্পদের মধ্যে একটি ‘সংযুক্ত কমিউনিটি’ গড়ে তুলছে। তিনি আরও বলেন, এআইয়ের অগ্রগতি শিক্ষাদান ও গবেষণাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। ‘প্রতিবারই মনে হয় কিছু করা যাবে না, অথচ নতুন মডেল দেখায় সেটা সম্ভব’ যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক রোবট প্রচলনে গবেষণা করছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাইফুল ৫ ঘণ্টা আগে

এআই, শিক্ষাদান ও গবেষণার নতুন মাত্রা

এইচবিএসের অন্য কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এআই শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতাকে শুধু বদলাচ্ছে না; বরং সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। ফ্রিটজ জর্ডান কখার বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া মতামতকে এআই বিশ্লেষণ করে শিক্ষকদের জন্য কার্যকর তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি ক্রিস্টেনসেন সেন্টারের কাজকে সহজ করছে।

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের সদস্য ম্যাথিউ নেগ্রি বলেন, এআই শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতার—চকবোর্ড, পরিবেশ, শিক্ষক কোনোটির বিকল্প নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে শেখে, আর এআই সারা দিনে সাহায্য করতে পারে।’

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫

৩০ শতাংশ নীতি

এমবিএ প্রোগ্রামের সিনিয়র সহযোগী ডিন সেডাল নিলি বলেন, এআই ও পরিবর্তন একসঙ্গে চলে। তিনি ‘৩০ শতাংশ নীতি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুরো এআই শিখতে হবে না, মৌলিক ধারণার প্রায় ৩০ শতাংশ বোঝাই যথেষ্ট। অনেকে ভাবেন, এআই একটি বিশাল মহাসাগর। আসলে এটি এক ‘নির্বাচিত পুকুর’। এই পুকুর বোঝার পর শিক্ষার্থীরা এআইকে কাজে লাগাতে, অবদান রাখতে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে।’

ভবিষ্যতের শিক্ষা ও গবেষণায় এআই

এইচবিএসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, শিক্ষাদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততায় এআই আরও বড় ভূমিকা নিতে যাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তন০৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ