হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার
Published: 9th, October 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) শিক্ষকেরা। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ডিন শ্রীকান্ত এম দাতার জানিয়েছেন, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্প্রেডশিটসহ নানা ধরনের কাজের দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
হোমওয়ার্ক মূল্যায়নে দ্রুত ফিডব্যাক
শ্রীকান্ত এম দাতার বলেন, ‘শুধু হোমওয়ার্ক মূল্যায়ন নয়, আমরা আরও অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে এআই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’ তিনি ‘Foundry’ নামের একটি এআই প্ল্যাটফর্মের কথাও তুলে ধরেন। এটি উদ্যোক্তাদের জন্য হার্ভার্ডের বাইরে থেকেও এইচবিএসের উদ্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কনটেন্ট ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। দাতারের ভাষায়, এটি মানুষের, ধারণার ও সম্পদের মধ্যে একটি ‘সংযুক্ত কমিউনিটি’ গড়ে তুলছে। তিনি আরও বলেন, এআইয়ের অগ্রগতি শিক্ষাদান ও গবেষণাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। ‘প্রতিবারই মনে হয় কিছু করা যাবে না, অথচ নতুন মডেল দেখায় সেটা সম্ভব’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক রোবট প্রচলনে গবেষণা করছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাইফুল ৫ ঘণ্টা আগেএআই, শিক্ষাদান ও গবেষণার নতুন মাত্রা
এইচবিএসের অন্য কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এআই শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতাকে শুধু বদলাচ্ছে না; বরং সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। ফ্রিটজ জর্ডান কখার বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া মতামতকে এআই বিশ্লেষণ করে শিক্ষকদের জন্য কার্যকর তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি ক্রিস্টেনসেন সেন্টারের কাজকে সহজ করছে।
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের সদস্য ম্যাথিউ নেগ্রি বলেন, এআই শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতার—চকবোর্ড, পরিবেশ, শিক্ষক কোনোটির বিকল্প নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে শেখে, আর এআই সারা দিনে সাহায্য করতে পারে।’
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫৩০ শতাংশ নীতি
এমবিএ প্রোগ্রামের সিনিয়র সহযোগী ডিন সেডাল নিলি বলেন, এআই ও পরিবর্তন একসঙ্গে চলে। তিনি ‘৩০ শতাংশ নীতি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুরো এআই শিখতে হবে না, মৌলিক ধারণার প্রায় ৩০ শতাংশ বোঝাই যথেষ্ট। অনেকে ভাবেন, এআই একটি বিশাল মহাসাগর। আসলে এটি এক ‘নির্বাচিত পুকুর’। এই পুকুর বোঝার পর শিক্ষার্থীরা এআইকে কাজে লাগাতে, অবদান রাখতে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
ভবিষ্যতের শিক্ষা ও গবেষণায় এআই
এইচবিএসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, শিক্ষাদান, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততায় এআই আরও বড় ভূমিকা নিতে যাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: বাংলাসহ তিন বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় এল পরিবর্তন০৫ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগ
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই অভিযোগ করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। ট্রাইব্যুনাল আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি এই ট্রাইব্যুনাল মানেন না। তাঁর যুক্তি, এই ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য কোনো বিচার হতে পারে না।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, ক্রাইম এগেইনস্ট পিসের বিচার করতে পারেন। এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। ফজলুর রহমানের মাথায় শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি আছে।
টক শোর আরেকটি অংশ তুলে ধরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘এই কোর্টের গঠনপ্রক্রিয়া বলে—এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যাঁরা বিচার করতেছেন, আমার ধারণা এঁদের মধ্যে ভেতরে একটা কথা আছে।’
টক শোর এই দুটি অংশ তুলে ধরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, ফজলুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য করার পরিণতি জানেন। তারপরও ফজলুর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রাইব্যুনালের গঠনপ্রক্রিয়া, বিচার নিয়ে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাইব্যুনালকে অবমূল্যায়ন করে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননা করছেন।
আজ এ অভিযোগ উপস্থাপনের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর সদস্য-২ বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার ও সদস্য-১ বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসিকিউশনকে শোনার পর আদেশে বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী বলেন, এটি খুবই গুরুতর অভিযোগ। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আগামী রোববার আবার শুনানি হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলুর রহমান।