নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। 

আরো পড়ুন:

ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪ 

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”

তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

করুর ট্র্যাজেডির পর বিজয়কে নিয়ে যা বললেন কাজল

দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা ও তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট থালাপাতি বিজয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর, তামিল নাড়ুর করুরে তার রাজনৈতিক দলের জনসভা ছিল। সেখানে পদদলিত হয়ে ৪১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে; ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও আলোচনা কম হয়নি।

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগরওয়াল। থালাপাতি বিজয়ের সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। সহশিল্পীর জনসভায় পদদলিত হয়ে এত মানুষের মৃত্যু প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় কাজলের কাছে। 
 
মূলত, চেন্নাইয়ে একটি জুয়েলারি দোকান উদ্বোধনে অংশ নেন কাজল আগারওয়াল। সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে বিজয়ের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে করুরে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজেডি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় কাজলের কাছে। জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, “সকলেরই সাবধান হওয়া উচিত। আমি রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করব না। এটা অন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।” 

আরো পড়ুন:

বক্স অফিসে বইছে ‘কানতারা টু’ ঝড়

রাশমিকা না কি বিজয়, কে বেশি ধনী?

বিজয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজল আগরওয়াল বলেন, “আমি বিজয়ের সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি তার বড় ভক্ত।”

কয়েক বছর আগে সর্বশেষ তামিল ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন কাজল। ভবিষ্যতে তামিল সিনেমায় কাজ করবেন কি না, জানতে চাইলে কাজল বলেন, “আমি খুব শিগগির অভিনয় করব।” 

বলিউড ও তামিল সিনেমার পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কাজল বলেন, “খুব বেশি পার্থক্য নেই। দুই ইন্ডাস্ট্রিই খুবই সৃজনশীল ও পেশাদার। তামিল সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছি, এটি আমাকে বিশেষ জায়গা দিয়েছে।”

গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গুঞ্জন চাউর হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন কাজল আগরওয়াল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরালো চর্চা হয়। এসব গুজব কীভাবে দেখেন? এ প্রশ্নের উত্তরে কাজল বলেন, “আমি গুজবে মনোযোগ দিতে চাই না।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • করুর ট্র্যাজেডির পর বিজয়কে নিয়ে যা বললেন কাজল