৬ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গাছের মগডালে চড়ে বসেন যুবক, শিশু নিহত
Published: 10th, October 2025 GMT
পটুয়াখালীর দশমিনায় নারী-শিশুসহ ছয়জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এতে এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক যুবককে গাছের মগডাল থেকে নামিয়ে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর হোসনাবাদ গ্রামের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম সাফায়েত হোসেন (৮)। সে একই এলাকার জামাল ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মুইন হাসান (৮) ও তাঁর মা মোছা.
সবুজ মৃধাকে মাদকাসক্ত দাবি করে স্থানীয় ইউপির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে কোনো কারণ ছাড়াই একই বাড়ির ওই ছয়জনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন সবুজ। এ সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাফায়েত, মুইন ও তাঁর মা মরিয়মকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বরিশাল নেওয়ার পথে সাফায়েতের মৃত্যু হয়। মুইন ও তাঁর মা মরিয়মকে বরিশালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
কবির চৌকিদার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্তির ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন সবুজ। তাঁর মতিগতি বোঝা যায় না। গতকাল একটি বাড়িতে ঢুকে যাকে সামনে পেয়েছেন, তাঁকেই কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। এরপর লোকজনের উপস্থিতি দেখে ভয়ে একটি গাছের মগডালে আশ্রয় নেন সবুজ। রাতে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা তাঁকে গাছ থেকে নিচে নামান।
ওই ঘটনার পর সবুজ ৬৫ থেকে ৭০ ফুট উঁচু একটি চাম্বলগাছের মগডালে আশ্রয় নেন বলে জানান দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ওপর থেকেই সবুজ কয়েকটি গাছ পরিবর্তন করতে থাকেন। তাঁকে নামাতে ও পালানো রোধে চারটি গাছ কাটা হয়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে নিচে নামানো হয়। সবুজ নিজেও আহত ছিলেন।
সবুজকে গাছ থেকে নিচে নামিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, সবুজ গাছের মগডালে থাকা অবস্থায় হাতে থাকা দা দিয়ে নিজের হাত ও শরীরের একাধিক স্থানে জখম করেন। তাঁকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত শিশুটির দাফন শেষে হয়তো থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মামলা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল ন সব জ দশম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিম-হলুদ কী সত্যিই ত্বকের জন্য ভালো?
নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ উপাদান।, যা ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে। হলুদ ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের জন্য নিম ও হলুদ দারুণ উপকারী দুইটি উপাদান।এই দুটি উপাদান একসাথে ব্যবহার করলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়।
ত্বক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে
নিমে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। আর হলুদের প্রদাহরোধী প্রভাব লালভাব ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন:
ইডিপাস: না জেনে নিজের মাকে বিয়ে করেছিলেন
‘সাগরের জলদস্যু’ বলা হয় যে পাখিকে
উজ্জ্বল ত্বক
হলুদ ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে পারে। এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। নিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
নিম-হলুদের ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন
১ টেবিল চামচ নিমপাতার গুঁড়া বা নিমপাতা বাটার সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ বাটা, পরিমাণমতো গোলাপ জল আর ১ চা চামচ মধু বা টক দই মিশিঠে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন ফেসপ্যাক
ফেস প্যাকটি মুখে লাগানোর আগে হালকা কোনো ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তরপরে পরিষ্কার হাত বা ব্রাশের সাহায্যে প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে।
সপ্তাহে একদিন নিম-হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এসব উপাদান ব্যবহারের পরে ত্বকে এলার্জি দেখা দিলে- ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
ঢাকা/লিপি