পেশাদার বডিবিল্ডার ও অভিনেতা বারিন্দর সিং ঘুমান মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। বারিন্দরের বয়স হয়েছিল ৪১ বছর। খবর এনডিটিভির
বারিন্দরের ম্যানেজার যাদবিন্দর সিং জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কাঁধে ব্যথা অনুভব করলে তিনি চিকিৎসার জন্য পাঞ্জাবের অমৃতসরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁর মৃত্যু হয়।
বারিন্দরের ভাতিজা অমনজোত সিং ঘুমান জলন্ধরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালেই সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।’

৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার ঘুমান ২০০৯ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ খেতাব জিতেছিলেন এবং ‘মিস্টার এশিয়া’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। অভিনয়জগতে তিনি বলিউড তারা সালমান খানের সঙ্গে ‘টাইগার ৩’ (২০২৩) ছবিতে কাজ করেন। এর আগে তাঁকে দেখা গেছে ‘রোর : টাইগার অব দ্য সুন্দরবনস’ (২০১৪) ও ‘মারজাভা’ (২০১৯) ছবিতেও। ২০১২ সালে পাঞ্জাবি সিনেমা ‘কাবাড্ডি ওয়ান্স এগেইন’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তাঁর।

বারিন্দর সিং ঘুমান। এক্স থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

শরীয়তপুর–১ আসনে (সদর-জাজিরা) বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মশালমিছিল করেছেন দলটির স্থানীয় এক নেতার অনুসারীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন ওরফে কালুর সমর্থকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি দেখা দেয়।

এ আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি শরীয়তপুর–৩ আসনের আওতাধীন ডামুড্যা উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শরীয়তপুর–১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এ কে এম নাসির উদ্দিন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমজাদ সওদাগর, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মজিবুর রহমান। সাঈদ আহমেদকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ার পর স্থানীয় বিএনপির মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নাসির উদ্দিনের সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখান। গতকাল বৃহস্পতিবারও শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের জাজিরার কাজীরহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।

আজ সন্ধ্যায় নাসির উদ্দিনের সমর্থকেরা জেলা শহরের ধানুকা এলাকায় শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে জড়ো হন। তাঁরা মাশালমিছিল নিয়ে জেলা শহরে ওই সড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে অবরোধ করেন। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে থেকে মশালমিছিল নিয়ে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক ধরে সদর থানার কাছে গিয়ে শেষ হয়। অবরোধের কারণে অন্তত এক ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে শহরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

শরীয়তপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আজম সরদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীয়তপুর–১ আসনে অন্য একটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন নেতাকে এনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ত্যাগী নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা আমরা মানতে পারছি না। মনোনয়ন পরিবর্তন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ছৈয়াল বলেন, সাঈদ আহমেদ জেলা পর্যায়ের নেতা হলেও তিনি শরীয়তপুর–৩ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকাকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী। মাঠপর্যায়ের রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি একেবারেই কম। তিনি বলেন, ‘এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। আমরা যে নেতাকে সংকটের সময় পাশে পাই, তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

দলের প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য তাঁদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ধরেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল হক মোল্যা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিত এক নেতার সমর্থকেরা আন্দোলন করছেন। দল যাঁকে ভালো মনে করেছে, তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখন দলের সিদ্ধান্তটা মেনে নেওয়াই উচিত হবে। আমরা তৃণমূলের নেতার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রয়েছি।’

আরও পড়ুনবিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দুই জেলায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ২৭ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ