‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে, মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে। থানার ওসি সকালে আপনার অনুষ্ঠান জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবে।’ জামায়াতে ইসলামীর নেতা শাহজাহান চৌধুরীর দেওয়া এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। আজ শুক্রবার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

জামায়াত নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠনটি বলেছে, ‘ভবিষ্যতে সবাইকে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পেশাদার, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সিভিল সার্ভিসের অংশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের কাজ রাষ্ট্রীয় নীতি বাস্তবায়ন করা, আইনানুগ দায়িত্ব পালন করা এবং যেকোনো নির্বাচনে সমান সুযোগ, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।’ প্রশাসনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কোনো রাজনৈতিক দল, মতাদর্শ বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলে, ‘এটি আমাদের পরিচয়ের মূল ভিত্তি এবং পেশাগত নৈতিকতার মূল উপাদান।’

আরও পড়ুনজামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের২৪ নভেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কড়াইলবাসীর জন্য জরুরি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু

রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসহায় মানুষদের সহায়তা দিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বস্তির অভ্যন্তরে একটি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু করেছে। 

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের নির্দেশনায় এ সেবাকেন্দ্রটি কার্যক্রম চালু করা হয়।

মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, “এই সেবাকেন্দ্রের লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে প্রাথমিক মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জরুরি খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে তাদের জীবনের নিরাপত্তা সহায়তা ও কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করা।”

মানবিক সেবাকেন্দ্রটি প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় দুই হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করবে, যা আজ থেকে শুরু করে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির চাহিদা পূরণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেবাকেন্দ্র এলাকায় নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়।

এই ব্যবস্থা পানীয়জল সংকট কমানোর পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। সেবাকেন্দ্র চালুর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত খাদ্য সহায়তা পেয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছে। খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে অনেক পরিবার স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে শিশু, নারী ও প্রবীণদের কাছে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে। ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী এই মহতী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

‘মানুষ মানুষের জন্য’—এই মানবিক অঙ্গীকার নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ভবিষ্যতেও সব সংকটময় মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ