উচ্চ মাধ্যমিকে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে: মিলন
Published: 11th, October 2025 GMT
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন বলেছেন, সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইসঙ্গে ইসলামি শিক্ষায় মৌখিক পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম আয়োজিত ‘সংকট আবর্তে ইসলাম শিক্ষা : উত্তরণ কর্মকৌশল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে এয়ারটেল আড্ডা কনসার্ট অনুষ্ঠিত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবাসন-পরিবহনে ভোগান্তি চরমে, বাড়ছে শুধু বিভাগ
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড.
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের ধর্ম ইসলাম হলেও অন্যান্য ধর্মের নাগরিকরাও ধর্মপ্রাণ। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক ও নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনো স্তরেই ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’কে গুরুত্বসহকারে আবশ্যিকভাবে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে অনেকেই নানা উৎস থেকে ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে, যার কারণে ভুল ব্যাখ্যা, কুসংস্কার ও উগ্রতার উন্মেষ ঘটে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ধর্ম ও নৈতিকতা বিষয়ে অজ্ঞ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অনৈতিকতা ও অবক্ষয়ের সৃষ্টি করছে। এই নৈতিক অবক্ষয় রোধে এবং ধর্মীয়-নৈতিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা কারিকুলাম ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
বক্তারা বলেন, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ভর্তি নীতিমালায় ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি এবারও ঐচ্ছিক (চতুর্থ বিষয়) হিসেবে রাখা হয়েছে। এটি বিগত সেক্যুলার নীতির পুনরাবৃত্তি এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের প্রতি বেইমানি। দেশবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি-উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা- সব শাখা ও বিভাগে ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এ কে এম ওয়ারেসুল করিম বুলবুল, প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, প্রফেসর মিয়া মুহাম্মদ নুরুল হক, ড. মো. রইছ উদ্দিন, ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ড. শাহ মুহাম্মদ আবদুর রাহীম, ড. আবদুল মান্নান, প্রফেসর আতিকুর রহমান, মারুফুর রহমান শেখ, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের মিয়া, ড. মো. সাইদুল হক, এ এস এম জাফর সাদিক, শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর মাহবুব, মুফতি মহিবুল্লাহ, ড. হেদায়েত উল্লাহ ও মো. মনিরুল হাসান প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র রহম ন ম হ ম মদ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস, রিজভীসহ ১৬৭ জন
সাত বছর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ ব্যক্তি।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার সড়ক বন্ধ করে মিছিল করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর মামলাটি করা হয়। পল্টন থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলায় মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অন্যদের আসামি করা হয়। মামলায় সম্প্রতি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। এতে মামলা থেকে ১৬৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মির্জা আব্বাসসহ অন্যদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আরও পড়ুনমাকে ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিলেন মির্জা আব্বাসের ছেলে০৫ অক্টোবর ২০২৫মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া অন্যদের মধ্যে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।
আরও পড়ুননির্বাচন সামনে রেখে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন: মির্জা আব্বাস০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫