মডেলিং থেকে অভিনয়, সঞ্চালনা—সব জায়গাতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন পিয়া জান্নাতুল। ক্রিকেট মাঠে তার নজরকাড়া সঞ্চালনা ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। যদিও এখন আর ক্রিকেট মাঠে তাকে দেখা যায় না। তবে পেশাগত কাজে মাঠে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত এই অভিনেত্রী। 

কয়েক দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পিয়া জান্নাতুল। এ আলাপচারিতায় পেশাগত আলাপের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনি কোন কোন পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন? এ প্রশ্ন শুনে দ্বিধায় পড়ে যান পিয়া। এরপর সঞ্চালক বলেন, “আমি কয়েকটি অপশন দিচ্ছি, আপনি শুধু ‘ইয়েস’ অথবা ‘নো’ বলবেন। এক.

খেলোয়াড় মানে ক্রিকেট?”

এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “হ্যাঁ। বাংলাদেশের সব মেয়ে পেয়েছে। আমি শিওর। বেশিরভাগ।” বিস্ময় প্রকাশ করে সঞ্চালক বলেন, “বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও প্রপোজ করেন! এ কথা শুনেই পিয়া জান্নাতুল বলেন, “ইয়াং ছেলে, মেয়ে দেখলে, সিঙ্গেল থাকলে প্রপোজ করতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। বিদেশি খেলোয়াড়রাও করেন।” তবে কোন খেলোয়াড় পিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই অভিনেত্রী। 

ছোটবেলায় এমন কোনো নায়ক ছিল, যাকে খুব পছন্দ করতেন, বিয়েও করতে চাইতেন? এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “সালমান শাহ। আমি ফারুককে বলেছি, ‘তোমার সঙ্গে যদি আমার প্রেমটেম না থাকত, তোমাকে যদি বিয়ে না করতাম, আর সালমান শাহ যদি সিঙ্গেল থাকতেন তবে নির্ঘাত আমি প্রস্তাব দিতাম।”

আপনার জীবনে কতবার প্রেম এসেছে? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “প্রেম জীবনে বহুবার এসেছে।” দশবার বা বিশবার? পাল্টা এ প্রশ্নের উত্তরে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “না, সিরিয়াস প্রেম জীবনে দুইবার করেছি।” যদিও দুই প্রেমিকের নাম-পরিচয় জানাননি পিয়া। 

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফারুক হাসান সামীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পিয়া। ৬ বছর প্রেম করে ২০১৪ সালের ১৫ জুন ফারুকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

পিয়া ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন ব্যারিস্টার হওয়ার। তাই পড়াশোনা করেন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এই অভিনেত্রী।  

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। তিনি ফ্যাশন মডেলিংয়ের পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। 

২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পিয়ার আবির্ভাব ঘটে। এরপর ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘স্টোরি অব সামারা’, ‘প্রবাসী প্রেম’, ‘রোমান্স ইন আমেরিকা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। 

চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করায় তার তারকাখ্যাতি আরো বাড়িয়ে দেয়। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ম র প রস ত ব জ ন ন ত ল বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরায় একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছিল শেখ বশিরউদ্দীনকে; এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার সময় তা নিয়ে আলোচনাও উঠেছিল। কিন্তু এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাননি আদালত। তাই তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ভারগো গার্মেন্টসের ‘এক্সিকিউটিভ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ মো. সোহান শাহ হত্যার মামলায় শেখ বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামসেদ আলম।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া প্রতিবদনে বলেছিলেন, ‘এ মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি শেখ বশিরউদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান জানান, ২৪ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা, র‍্যাব-৩–এর উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) ধারা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।

আকিজ বশির গ্রুপের কর্ণধার শেখ বশিরউদ্দীন গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বরে এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এর পরপরই জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরা থানায় করা একটি মামলায় তাঁর আসামি হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন সোহান শাহ (৩০)। ওই বছরের ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এরপর গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সোহানের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। এজাহারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি, এর মধ্যে ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নামটি ছিল ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’। এই নামের সঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীনের, এমনকি তাঁর বাবার নামও মিলে গিয়েছিল।

তবে মামলার বাদী সুফিয়া বেগম তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তাঁর ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। তবে আসামি কারা করেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না।

তখন শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হয়তো তাঁর নাম এ মামলায় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যামামলা: বাদী বললেন জানেন না, উপদেষ্টা সেখ বশির বললেন নিশ্চিত নন১১ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাকে হারাতে জেলা বিএনপি ১০০ কোটি টাকার বাজেট করেছে, বললেন বিএনপির প্রার্থী
  • জকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট স্থগিত
  • ‘শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত’
  • শাকিবের নায়িকা রহস্য
  • ওসির পদায়নও হবে লটারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • চেলসির কাছে পাত্তা পেল না বার্সেলোনা
  • টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে কারা
  • যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
  • মধ্যরাতে শিক্ষার্থীকে মেসে ডেকে নিয়ে নির্যাতন, প্রতিবাদে সহপাঠীদের অবস্থান
  • জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন