খুলনার দিঘলিয়ায় সাত বছরের শিশু জিসানকে হত্যা করেন প্রতিবেশী ফয়সাল। তার লাশ গুম করতে সহযোগিতা করেন অভিযুক্তের মা-বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার জিআরও এএসআই ইমাম আলী।

তিনি জানান, রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ফয়সাল ও তার বাবা-মাকে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের আদালত-১ এ হাজির করা হয়। সেখানে গ্রেপ্তারকৃতরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে প্রথমে ফয়সাল (২৬), এরপর তার বাবা জিএম হান্নান (৫২) ও সর্বশেষ তার মা মাহিনুর বেগম (৪৫) জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

খুলনায় শিশু জিসান হত্যা: আসামির বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

এদিকে, সন্তান হারা জিসানের মায়ের আহাজারি যেন থামছে না। ১২ বছর বয়সী বড় ছেলে রাশেদকে জড়িয়ে একের পর এক বিলাপ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাজান তো কোনো অন্যায় করে নাই। আমার লগে ওদের কোনো শত্রুতা নাই। কেন ওরা আমার বাজানরে মাইরা ফালাইলো। কেমনে আমার বাজানরে খুন করল? আমি এইডার বিচার চাই। সুষ্ঠু বিচার চাই।” 

তিনি বলেন, “আমার বাবারে ওরা যে কষ্ট দিছে, আমিও ওগো সেই কষ্ট দিবার চাই। আমার বাবারে যেভাবে শাস্তি দিছে, আমিও ওদের সেভাবে শাস্তি চাই। আমি ওগো ফাঁসি চাই। আমার বাজান মসজিদ থেইক্যা নামাজ পইড়া বাহির হইছে বৃহস্পতিবারের দিন। ওই শয়তানও সঙ্গে নামাজ পড়ছে। নামাজ পইড়া দু’জন একসাথে বাহির হইছে। এরপর আমার বাবারে হাত ধরে লইয়া কাম করছে।”

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিটন কুমার মন্ডল বলেন, “৯ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিশু জিসানকে ফয়সাল তাদের বাড়িতে নিয়ে  যায়। সেখানে তিনি দড়ি দিয়ে বেঁধে রান্নাঘর থেকে দা এনে কুপিয়ে হত্যা করেন জিসানকে। ঘটনাটি প্রথমে ফয়সালের মা মাহিনুর বেগম আঁচ করতে না পারলেও পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, তার ছেলে একটি শিশুকে হত্যা করেছে। এরপর তিনি ফয়সালের বাবা হান্নানকে খবর দেন।” 

তিনি বলেন, “তারা উভয়ে জিসানের মরদেহ প্রথমে প্লাস্টিকের বস্তায় এবং পরবর্তীতে একটি চটের বস্তায় করে বাড়ির পূর্ব পাশের দেওয়ালের কাছে মাটি চাপা দেন। বিষয়টি যাতে কেউ আঁচ করতে না পারেন সেজন্য মাটির উপর রোদে শুকানোর জন্য পাটখড়ি সাজিয়ে রাখেন তারা।” 

দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম শাহীন বলেন, ‘কি কারণে এবং কেন শিশু জিসানকে হত্যা করা করেছে এর উত্তর বের করার জন্য অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। বাদীর সাথে তাদের কোনো শত্রুতাও ছিল না। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়সাল মাদকাসক্ত ছিলেন।”

অভিযুক্ত ফয়সালের চাচা জিএম আকরাম বলেন, “সরকারি সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ফয়সাল এসএসসি পাস করে। এরপর স্থানীয় একটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে। ওদের স্বভাব চরিত্রের কারণে আমি খোঁজখবর রাখি না। মাঝেমধ্যে ওর মাথা ঠিক থাকতো না, পাগলামি করত।” 

উল্লেখ্য, বড় ছেলে রাশেদ নানা নানির সঙ্গে ভোলায় থাকে। ছোট ছেলে জিসান বাবা-মায়ের সঙ্গে দৌলতপুর-দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্ডল টেক্সটাইল মিলের কোয়ার্টারে বসবাস করত। জিসানের বাবা আলমগীর হোসেন মন্ডল টেক্সটাইল মিলের মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম আম র ব জ ন ফয়স ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামীর সঙ্গে কী নিয়ে ঝগড়া হয় মিমের?

লাক্স তারকা অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ব্যক্তিগত জীবনে সনি পোদ্দারের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে দারুণ সময় উপভোগ করছেন ‘আমার আছে জল’খ্যাত এই তারকা। 

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিয়ে-স্বামীকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য জানিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক জানান, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মঞ্চে অভিনেত্রী সারা যাকের তোমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বড় লোকের ছেলে না কি ভালো ছাত্র—কাকে তুমি জীবনসঙ্গী হিসেবে চাও? তুমি জবাব দিয়েছিলে, “ভালো ছাত্রকে বিয়ে করতে চাই। তোমার বর সনি পোদ্দার কতটা ভালো ছাত্র?” 

আরো পড়ুন:

ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

এ প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “অনেক ভালো।” বলেই হাসতে থাকেন এই অভিনেত্রী। এরপর মিম বলেন, “হ্যাঁ, ও অনেক ভালো মনের মানুষ।” এরপর সঞ্চালক বলেন, “তুমি তো তাকে অনেক কষ্ট দাও।” এ কথা শুনে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে মিম বলেন, “আমি! কী কষ্ট দিই?” জবাবে সঞ্চালিকা বলেন, ‘বেচারা! তোমার পারফেক্ট ছবি তুলতে গিয়ে লোকটি যে কত কষ্টের মধ্য দিয়ে যায়।”  

এ কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করে মিম বলেন, “হ্যা, এটা সত্য। ওর সঙ্গে ঝগড়াটাই লাগে ছবি তোলা নিয়ে। আরো একটা কারণে ঝগড়া লাগে। দেখা গেল, ও ছবিতে নেই। কিন্তু ও যে আমার ছবি তুলল, সেটা কেন ভালো হয় না, তা নিয়েও ঝগড়া লাগে। ফ্রেমট্রেম কিছু না বুঝেই আমার কিছু ছবি তুলল, তারপর ঝগড়া লেগে যায়। কারণ ওসব ছবির একটাও সুন্দর না, একটাও ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না।” 

কিছুটা ব্যাখ্যা করে মিম বলেন, “এরপর দেখা যায়, ও রেগে যায়। হয়তো গরমের মধ্যে শুট করছে। ও বলে, ‘এর থেকে ভালো ছবি তুলতে পারব না।’ এ কথা বলেই ফোনটা রেখে চলে যায়।” 

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেছিলে—“তোমাদের ভালোবাসা সমুদ্রের মতো গভীর।” আমার প্রশ্ন হলো, তোমার কোন অপূর্ণতা তিনি পূরণ করেছেন? জবাবে মিম বলেন, “আমার মা-বাবা সবকিছুর সাপোর্ট দেয়। কিন্তু ও থাকাতে আমার নিজেকে হালকা ফিল হয়। আমার মনে হয়, ও তো আছে, ও সবকিছু দেখবে। সুতরাং আমার প্রেসার কমেছে।”

এক বান্ধবীর মাধ্যমে সনি ও মিমের পরিচয়। তারপর গড়ে উঠে বন্ধুত্ব ও প্রেম। প্রায় অর্ধ যুগ সম্পর্কে থাকার পর ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর সনির সঙ্গে বাগদান সারেন। ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি, রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সনাতন ধর্মরীতি মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। সনির বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছেলে কেক খাওয়ার বায়না ধরত, বানানো শিখে মা এখন উদ্যোক্তা
  • খেলোয়াড়দের প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন পিয়া
  • চার ফিফটিতে প্রথম দিন পাকিস্তানের
  • ওজন ৪০ কেজিতে নামালেন কে–পপ তারকা, এরপর কী ঘটল
  • রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনে উদ্যোগী বিসিবি
  • বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা
  • যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের
  • তৃষার বিয়ে?
  • স্বামীর সঙ্গে কী নিয়ে ঝগড়া হয় মিমের?