জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের রক্ষা করতে সেনাবাহিনী পুলিশের দিকে পাল্টা গুলি করেছিল বলে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্কে আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ চিফ প্রসিকিউটর এ কথা বলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি শর্ত হচ্ছে, সেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অথবা সামরিক কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততা থাকতে হয় উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে এটি সম্পূর্ণরূপে করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যদিও সেনাবাহিনী অ্যাক্ট করেনি সেভাবে। সেনাবাহিনী ছাত্রদের সেভাবে হত্যা না করার ব্যাপারে মিটিং করে ডিসিশন নিয়েছে। তারা দাঁড়ায়নি। তারা বলেছে, আমরা করব না। শেষের দিক.

..সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছাত্র–জনতা একাকার হয়ে গেছে। মিরপুরের একটা জায়গায় দেখা গেছে, ছাত্রদের রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি করেছে পুলিশের দিকে। যে শেষ পর্যন্ত দেশকে রক্ষার জন্য যখন মাঝখানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী, তখন মানুষ কিন্তু সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ধরেছে, কান্না করেছে আবেগে। ফুল দিয়েছে, তাদের এপিসির ওপর পতাকা নিয়ে গিয়েছে। তাদের চুমু খেয়েছে। এগুলো তো আমরা দেখেছি। সুতরাং এই জায়গায় তারা একটা ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তা না হলে হয়তো অজস্র প্রাণ আরও ঝরে যেত।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পবর্জ্যে সাগর-নদীদূষণ, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

২ / ৯নির্বিচার খালে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ