কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গুলিসহ রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনার পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ তৈয়ব (২৬) ঘোনার পাড়া এলাকার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ছাব্বির আহমদের ছেলে।

আরো পড়ুন:

কু‌ড়িগ্রাম সীমান্তে ১১ রো‌হিঙ্গা আটক

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন আজ 

ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘‘কয়েকজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বসতঘরে অবস্থান করছে এবং অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা করছে— এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সন্দেহজনক ঘর ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন-চারজন পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করা হয়।’’  

তিনি বলেন, “আটক তৈয়বের শরীর তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি একটি বন্দুক ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি ও মাদকপাচারসহ একাধিক মামলায় তার নাম রয়েছে।’’

তৈয়বের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি জিয়াউল হক। 

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে বললেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বরিশালের বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর মাধ্যমে বরিশালে প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিক হলো। এতে ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা করবেন ইবির ১৪১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই বয়সে শিক্ষকরাও একদিন ছিলেন। তাই তারা জানেন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে কত চঞ্চলতা-অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো সেই বয়সটা ছিল না, যে বয়সটা আজ শিক্ষকরা পার করছেন। এই গ্যাপটা শিক্ষককে দূর করতে হবে।”

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তাদের চাহিদা কি তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে একজন শিক্ষককে। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সচেতন, তারা আপনাদের পর্যবেক্ষণ করে। তারা বুঝতে পারে আপনি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছেন, নাকি যাচ্ছেন না।”

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. ফায়েজ বলেন, “তোমরা আজ গর্বিত গ্রাজুয়েটস। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন নিজেদের বাবা-মাসহ দেশ ও জাতি। তাই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সবা বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছ। যারা তোমাদের শিক্ষাদান করলেন, তাদের কথা মনে রেখ।”

অধ্যাপক ড. ফায়েজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “ছোটবেলায় স্কুলের ছাত্রাবস্থায় বরিশাল এসেছিলাম, তারপর আজ আবার আসলাম। এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে জিইউবি। এই বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্র গঠন করে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, তা শেখায়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে এগিয়ে এসেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”

এছাড়াও সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউজিভির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, ইউজিভি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাবেয়া বেগম, সমাবর্তনের আহ্বায়ক ইউজিভির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।

সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ