হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তাঁরা বলেছেন, আগুনের ঘটনা কোনো পরিকল্পিত নাশকতার অংশ কি না, তা সরকারকে তদন্ত করে বের করতে হবে।

শনিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির নেতারা এই দাবি জানান। তাঁরা বলেন, যদি নাশকতা হয়ে থাকে, তাহলে যাঁরা এ ধরনের দেশদ্রোহী কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা যে মতেরই হোক না কেন, তাঁদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

জাপা নেতারা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার রূপনগর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের পরপরই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদেরকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে; কিন্তু যে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জাতি হিসেবে বিশ্বদরবারে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, তার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে।’

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী তাঁদের সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

জাতীয় পার্টির নেতারা আরও বলেন, কার্গো ভিলেজে যে ধরনের অপব্যবস্থাপনার মধ্যে পণ্য রাখা হয়, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। ভবিষ্যতে যাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে পণ্য রাখা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ব যবস র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভূখণ্ড নিয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি: রুশ কর্মকর্তা

যুদ্ধের ইতি টানতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘কোনো আপস’ হয়নি। মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক রুশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে তাঁরা এ বৈঠক করেন। এ বৈঠক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এবং মধ্যরাতের পর শেষ হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আপসে পৌঁছাতে পারিনি। তবে মার্কিন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে।’

উশাকভ মঙ্গলবারের আলোচনাকে ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ উল্লেখ করলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও মস্কো— উভয় পক্ষের সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি।’

মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার রাজধানীতে গিয়েছিল। সেখানে আগের ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার হালনাগাদ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়। ফাঁস হওয়া ‘খসড়াটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে’— ইউক্রেন ও দেশটির মিত্রদের এমন কঠোর সমালোচনার মুখে ওয়াশিংটন এতে পরিবর্তন আনে।

কিয়েভ ও ইউরোপের পাল্টা প্রস্তাবটিরও নিন্দা করেছে ক্রেমলিন। পুতিন বারবার বলে আসছেন, এটি তাঁর দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো, রাশিয়া; ২ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ