মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। রবিবার (১৯ অক্টোবর) দিল্লির একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। পরিণীতি-রাঘব চাড্ডা দম্পতির এটি প্রথম সন্তান। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
আনন্দের এ খবর জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে যৌথভাবে একটি পোস্ট দিয়েছেন পরিণীতি-রাঘব চাড্ডা। তাতে বলা হয়েছে—“অবশেষে সে এখানে এসেছে! আমাদের শিশু পুত্র.
আরো পড়ুন:
উত্তপ্ত আসাম: গায়ক জুবিনের মৃত্যু নিয়ে যা বলল সিঙ্গাপুর পুলিশ
‘ড্রিম গার্ল’ হেমার রোমাঞ্চকর প্রেমজীবন
এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এই দম্পতিকে। পরিণীতির সহকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন—মণীষ মালহোত্রা, নয়নদ্বপী রক্ষীত, অনন্যা পান্ডে, আয়ুষ্মান খুরানা, সনি রাজদান, বিশাল ভরদ্বাজ প্রমুখ।
নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রেমিক রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। এর কয়েক মাস পরই গুঞ্জন চাউর হয়, মা হতে যাচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া। যদিও তা গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ ছিল।
অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হয়। গত ২৫ আগস্ট মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন পরিণীতি চোপড়া। ইনস্টাগ্রামে একটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছেন পরিণীতি-রাঘব। ছবিটিতে দেখা যায়, ছোট্ট দুটো পায়ের চিহ্ন এবং ১+১=৩ লেখা। এই পোস্টের ক্যাপশনে পরিণীতি চোপড়া লেখেন, “আমাদের ছোট্ট পৃথিবী… তার নিজস্ব পথে এগোচ্ছে। আমরা অপরিসীম আশীর্বাদে ধন্য।”
২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গোধূলি লগ্নে পাঞ্জাবি রীতি মেনে উদয়পুরে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পরিণীতি-রাঘব চাড্ডা। পরিণীতির বর আম আদমি পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য। স্বাভাবিক কারণে এ যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা হয়েছে।
পরিণীতি চোপড়া অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘চমকিলা’। গত বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় এটি। ১৯৮৯ সালে একটি কয়লা খনিতে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে এ সিনেমার কাহিনি। খনিতে আটকে পড়া ৭১ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচিয়ে ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত গিল যে সাহসিকতার নজির গড়েছিলেন, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে সিনেমাটির গল্প।
নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন পরিণীতি চোপড়া। তাছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটপ্লিক্সের একটি সিরিজের কাজও শেষ করেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ছ ন পর ণ ত আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। কলা অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি এবং সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক দরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ অনূষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকেরা, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব।
ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান ও তাশরিফা ফাইরুজ।
আরবি বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী ও মোহাম্মদ আবদুর রহমান মাহদি।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার ও শান্তা আক্তার।
উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম ও মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান।
সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস ও তমা রাণী সরকার।
পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার ও প্রতিভা চাকমা।
ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা ও রূপম রোদ্দর।
দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা ও মো. ইমরান হোসাইন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে মানতে হবে ৯টি নিয়ম১৪ অক্টোবর ২০২৫২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়