স্প্যাম বার্তা নিয়ন্ত্রণে নতুন নিরাপত্তাসুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ
Published: 19th, October 2025 GMT
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিজেদের পণ্য বা সেবার প্রচারণায় হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত বার্তা পাঠান। এসব স্প্যাম বার্তার কারণে মাঝেমধ্যেই বিব্রতকর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। শুধু তা–ই নয়, স্প্যাম বার্তার কারণে প্রতারণার শিকারও হন অনেকে। আর তাই ব্যবহারকারীদের স্প্যাম বার্তা থেকে রক্ষা করতে নতুন নিরাপত্তাসুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ সুবিধা চালু হলে অচেনা কোনো নম্বর থেকে অন্যদের বারবার বার্তা পাঠানো যাবে না। এরই মধ্যে এ সুবিধার কার্যকারিতা পরখ শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা প্রেরকদের বার্তা পাঠানোর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। কোনো প্রাপক উত্তর না দিলে প্রেরকের পাঠানো সব বার্তার সংখ্যা গণনা করা হবে। অর্থাৎ কেউ যদি কোনো অচেনা ব্যক্তিকে তিনটি বার্তা পাঠান, তাহলে তিনটি বার্তাই অবাঞ্ছিত হিসেবে গণনা করবে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে অপরিচিত ব্যক্তিদের ঠিক কতটি বার্তা পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার তথ্যমতে, সুবিধাটি চালু হলে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো বার্তার সংখ্যা বেশি হলে সতর্কবার্তা দেখানো হবে। এরপর নির্ধারিত সংখ্যা পার হলে নতুন বার্তা পাঠানো যাবে না। স্প্যাম বার্তা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য বার্তা পাঠানোর সংখ্যা আলাদা হতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন এই সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে যে ৫ কারণে০৩ এপ্রিল ২০২৫স্প্যাম বার্তা নিয়ন্ত্রণে এর আগে ফরওয়ার্ড করা বার্তার সংখ্যা সীমিত করার পাশাপাশি যাচাইকৃত ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ব্যবস্থা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন এ পরিবর্তন চালু হলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে স্প্যাম বার্তা পাঠানো ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে নতুন ধরনের ম্যালওয়্যার হামলা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট০৭ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প অ য ক উন ট
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ক্রিকেট ম্যাচ
কেউ বল হাতে ছুটছেন আবার কেউ ব্যাট হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চারদিক থেকে ভেসে আসছে দর্শকের উচ্ছ্বাস। তাঁদের কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ হাততালি দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ।
এত কিছুর উপলক্ষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীদের ক্রিকেট খেলা ঘিরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন টেনিস কোর্টে আজ রোববার বিকেলে এ খেলার আয়োজন হয়। এতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ঈশা রহমানও অংশ নেন। খেলাটির আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সংগঠক ও ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম। তিনি চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।
আয়োজক ও অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা জানান, খেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে আগে খুব একটা খেলা হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন আয়োজনও ছিল না। এখন সুযোগ পেয়ে খেলায় অংশ নিয়েছেন। এ কারণে খেলায় অনেক ভুল করেছেন। এরপরও হাসিঠাট্টা আর ছুটে চলায় পুরো খেলাটিতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। খেলায় চাকসুর সহখেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক তামান্না মাহবুবের দল জয় পায়। খেলাটি ১০ জন করে ২টি দলে হয়।
জানতে চাইলে খেলার আয়োজক আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ম্যাচের মূল উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা। এ ছাড়া ক্রীড়ার মাধ্যমে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ঐক্য বৃদ্ধি করা। সামনেও আমরা এ ধরনের আয়োজন করব।’
খেলায় অংশ নেওয়া নবনির্বাচিত সহখেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক তামান্না মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো আয়োজন অনেক সুন্দর ছিল। ক্যাম্পাসে এ রকম আয়োজন যেন বারবার হয়, এমন চাচ্ছি আমরা। এমনভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টার জন্যই আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ঈশা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন আয়োজন ছাত্রীদের জন্য প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা ফোন ব্যবহার করে যেন সময় অপচয় না করে, সে কারণে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এত ছাত্রী খেলাধুলা নিয়ে আগ্রহী, তা ভাবিনি। এমন আয়োজনে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’