পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ। অথচ বৃষ্টির দাপটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসল ২৬ ওভারে। বারবার বৃষ্টির বাধাঁয় বন্ধ হওয়া ম্যাচের উত্তেজনা তাতেই কমে আসে।

ছন্দ হারানোয় সমীকরণও হতে থাকে ওলটপালট। তবুও ২২ গজে লড়াই হলো। তাতে ভারতকে অনায়েসে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দারুণ করলো অস্ট্রেলিয়া।

আরো পড়ুন:

স্পিন দূর্গে জয়ের ছবি আঁকল বাংলাদেশ

রিশাদের ৬ উইকেটে বাংলাদেশের বিশাল জয়

বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৯ উইকেটে ১৩৬ রান করে। বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া ১৩১ রানের টার্গেট পায়। সেই লক্ষ্য ২১.

১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া শুরুতে একটু বিপদে পড়েছিল। দ্বিতীয় ওভারে ট্রাভিস হেড (৮) ফেরেন আর্শদীপের সিংয়ের বলে। এরপর আরও ২ উইকেট হারায় তারা। ম্যাথু শর্ট (৮) ও জশ ফিলিপ (৩৭) আউট হন।

কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অসি অধিনায়ক মিচেল মার্শ ক্রিজে ছিলেন। তার হাত ধরেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়। ৫২ বলে ৪৬ রান করে মার্শ অপরাজিত ছিলেন। তাকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত রেনশ। ২৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।  

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের ইনিংস চারবার বৃষ্টির বাঁধায় আটকে যায়। শেষমেশ ২৬ ওভারে ম্যাচ নেমে আসে। ভারতের ইনিংসে সবার নজর ছিল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার দিকে। কিছুটা শুভমান গিলের দিকেও। 

লম্বা বিরতি দিয়ে রোহিত ও বিরাট মাঠে ফেরেন। কিন্তু তারা বলার মতো কিছু করতে পারেননি। রোহিত ৮ রানে আউট হন। বিরাট খুলতে পারেননি রানের খাতা। এছাড়া রোহিতকে সরিয়ে গিলকে অধিনায়ক বানানো হয়েছে ওয়ানডেতে। অধিনায়কত্বের প্রথম ওয়ানডেতে গিল ১০ রানে আটকে যান। ভালো করতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ারও। ১১ রানে থামে তার ইনিংস।  

ভারতকে টানেন অক্ষর প্যাটেল ও লোকেশ রাহুল। তিন চারে ৩৮ বলে ৩১ রান করে ফেরেন অক্ষর। দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩১ বলে রাহুল করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। এছাড়া অভিষেকে দুই ছক্কায় ১১ বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ওয়েন, হেজেলউড ও কুনেমান। 

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃহস্পতিবার, অ্যাডিলেডে।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ বন্দীকে কাশিমপুরে প্রেরণ

খুলনা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে মারামারির ঘটনায় কারাবিধি অনুযায়ী তিন কারাবন্দীকে ঢাকার হাই সিকিউরিটি কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) পুলিশ পাহারায় প্রিজনভ্যানে তাদের তিনজনকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নামের তালিকায় যারা আছেন, তাদেরও পরবর্তীতে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

খুলনা কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ মাদারীপুরবাসী

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, “কারাগারের ভেতরে মারামারির পর শনিবার রাতে কারা হেড কোয়ার্টারে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সেখান থেকে আসামিদের পাঠানোর কথা জানানো হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সকালে কালা তুহিন, গ্রেনেড বাবুর ছোটভাই রাব্বি এবং জিতুকে পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। নামের তালিকায় যারা আছে পরবর্তীতে তাদেরও ঢাকায় পাঠানো হবে।”

শনিবার (১৮ অক্টোবর) খুলনার দুটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী গ্রুপ গ্রেনেড বাবু গ্রুপ ও কালা লাভলু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা কর্তৃপক্ষ লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষ ও লাঠিচার্জে একজন কারারক্ষীসহ অন্তত ৭-৮ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।

এ সংঘর্ষে অংশ নেন অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ জন কয়েদি। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ভাই রাব্বি চৌধুরী, অনুসারী হিরন, রুহান-পলাশ গ্রুপের পলাশ, কালা লাবলু, সৈকত ও মইদুলসহ আরো অনেকে।

খবর পেয়ে জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধানের নেতৃত্বে কারারক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ কারারক্ষীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে উত্তেজিত বন্দিদের পৃথক লকারে স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ