মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মি, পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিহত
Published: 30th, October 2025 GMT
ভারতের মুম্বাই শহরের একটি স্টুডিওর জিম্মিদশা থেকে ১৭ শিশুসহ ১৯ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অডিশন নেওয়ার কথা বলে তাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। উদ্ধার অভিযানের সময় অভিযুক্ত জিম্মিকারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বাইয়ের পোয়াই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রোহিত আর্য্য। তিনি জিম্মি নাটকের সময় এক ঘণ্টার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তিনি এয়ারগান দিয়ে শিশুদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (আইন ও শৃঙ্খলা) সত্যনারায়ণ বলেন, ‘সব শিশু এখন নিরাপদে আছে।’ তাঁর মতে, সম্ভবত আর্য্য ১৫ বছর বয়সী ছেলে–মেয়েদের একটি ওয়েব সিরিজের অডিশনের জন্য ডেকেছিলেন। বন্দুক ছাড়া তাঁর কাছে কিছু রাসায়নিক ছিল।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দত্ত নলাওয়াদে বলেন, বেলা পৌনে দুইটার দিকে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, মহাবীর ক্ল্যাসিক ভবনের আর এ স্টুডিওর ভেতরে এক ব্যক্তি শিশুদের জিম্মি করে রেখেছেন। খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যালকনি থেকে পড়ে প্রাণ গেল শিশু রুহির
গোপালগঞ্জে চার তলার ব্যালকনি থেকে পড়ে রুহি নামে এক বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
নিহত রুহি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া এলাকার সোহেল হাওলাদারের মেয়ে। সোহেল স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের আলিয়া মাদ্রাসার পাশে বোনের বাড়িতে থাকত।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুফুর বাড়ির চার তলার ব্যালকনি থেকে পড়ে যায় রুহি। এ সময় তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি মারা যায়।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব