২০০৭ সালে মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল ‘মেইসেস’। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের শিক্ষা পরামর্শসেবার অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মালয়েশিয়ার দুই শতাধিক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে মেইসেস।

মেইসেসের অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ কাউন্সেলর দল শিক্ষার্থীদের এমন সহায়তা প্রদান করে, যা সত্যিই অনন্য। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের এমনভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যেন তাঁরা সব সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে নিজেদের শিক্ষাজীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

সর্বোচ্চ গুণগত মানের প্রতি অঙ্গীকারই মেইসেসকে দেশের ও বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভূমিকা করেছে। উচ্চ ভিসা–সফলতার হার নিয়ে মেইসেস গর্বিত। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি সব সময় সৎ, উদ্ভাবনী পরামর্শ প্রদান করে এবং নিজেদের শিক্ষার্থী, পরিবার ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে গড়ে ওঠা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দেয়।

টিনা সালেম মঞ্জুর: মেইসেসের অগ্রযাত্রার কারিগর
টিনা সালেম মঞ্জুর একটি ছোট্ট অফিস থেকে মেইসেসের যাত্রা শুরু করে এটিকে ব্রিটিশ হাইকমিশন অনুমোদিত প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রশিক্ষিত এডুকেশন কনসালট্যান্ট। টিনা সালেম মঞ্জুর টরন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া প্রোডাকশনে মাস্টার্স এবং বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

মেইসেস প্রতিষ্ঠার আগে ইউএসএআইডির প্রকল্পে কৃষি-ব্যবসা রপ্তানি পোর্টফোলিও পরিচালনা করতেন এবং এনটিভিতে সংবাদ উপস্থাপক ও টকশোর হোস্ট হিসেবে কাজ করেছেন টিনা সালেম মঞ্জুর। তাঁর স্বপ্ন মেইসেসকে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পরিচিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য একটি শিক্ষা ব্র্যান্ডে পরিণত করা।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ: আবেদন, খরচ ও বৃত্তির খোঁজ২৫ মিনিট আগে

রুহাম মঞ্জুর: মেইসেসের সফল পথচলায় অগ্রপথিক
মেইসেসকে বাংলাদেশের বিদেশে উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং পার্টনার রুহাম মঞ্জুর। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রশিক্ষিত এডুকেশন কনসালট্যান্ট এবং আইসিএএফের সদস্য।

মেইসেসে যোগদানের আগে রুহাম মঞ্জুর ‘সিটি ব্যাংক এনএ’–তে এনবিএফআই (নন–ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন) ব্যবসা পরিচালনা করতেন। যুক্তরাষ্ট্রে ডেভেলপমেন্ট ও ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটিং সেক্টরে কাজ করেছেন রুহাম মঞ্জুর। তিনি ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া থেকে ফাইন্যান্স ও ইকোনমিকসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর বিশ্বাস, সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ একটি জীবনের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। রুহাম মঞ্জুরের লক্ষ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে পড়াশোনাকে বাস্তবতার মধ্যে নিয়ে আসা।

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন৫৪ মিনিট আগে

মেইসেসের ১৮ বছরের গল্প
গত ১৮ বছরে মেইসেস শুধু হাজারো শিক্ষার্থীর বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেনি, বরং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি নীতিগত পরিবর্তনের পথিকৃৎ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে মাস্টার্সে সরাসরি ভর্তি
মেইসেসের উদ্যোগে বাংলাদেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর ডিগ্রি এখন সরাসরি যুক্তরাজ্যের মাস্টার্স প্রোগ্রামে গ্রহণযোগ্য। ২০১১–১২ সালের আগে যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি আবেদনকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হিসেবে মাস্টার্স ডিগ্রি চাইতো। কিন্তু মেইসেসের উদ্যোগ বাংলাদেশের ব্যাচেলর শিক্ষার্থীদের জন্য সেই পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

ক্রেডিট ট্রান্সফার ব্যবস্থার প্রবর্তন
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষের বিজনেস শিক্ষার্থীরা এখন যুক্তরাজ্যে তাঁদের কোর্সের সমমান সম্পন্ন করে সরাসরি শেষ বর্ষে ভর্তি হয়ে যুক্তরাজ্যে ডিগ্রি অর্জন করতে পারছেন।

জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিচিত করা
মেইসেস প্রথমবারের মতো ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদানকারী জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেছে। ২০১১ সাল থেকে হাজারো শিক্ষার্থী স্কলারশিপসহ জাপানে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন।

মেইসেস এডুকেশন মিট
২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বার্ষিক আয়োজনে দেশের বিভিন্ন শহরের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রংপুর) শিক্ষার্থীরা এক ছাদের নিচে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পাচ্ছে, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষা খাতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের সুযোগ এবং সম্ভাবনা কেমন২৯ অক্টোবর ২০২৫

সেমিনার ও কর্মশালা
দেশজুড়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেইসেস বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করছে, যা নতুন এক ‘লার্নিং অ্যান্ড ইন্সপায়রেশন কালচার’ তৈরি করেছে।

মেইসেস বিশ্বাস করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীই যোগ্য সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে বিশ্বজুড়ে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারে—আর সেই পথচলার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হতে চায় মেইসেস।

সপ্তাহে ছয় দিন শনি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা (গুলশান ও ধানমন্ডি), সিলেট ও চট্টগ্রামে অবস্থিত মেইসেসের যেকোনো ব্রাঞ্চে এসে শিক্ষার্থীরা সরাসরি পরামর্শ নিতে পারেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে ভিজিট করুন www.

macesbd.com এবং বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৭৫৫৬৬০০১২

আরও পড়ুনবিদেশে উচ্চশিক্ষা: মাস্টার্স থেকে পিএইচডি ও রিসার্চের সাতসতেরো২৭ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য কর ছ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে নির্মাণকাজের সময় গ্যাস লাইনে ছিদ্র, সরবরাহ বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজের সময় এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) আঘাতে গ্যাসের সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ। এতে জেলা শহরের প্রায় ১৫ হাজার আবাসিক-বাণিজ্যিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শহরের উলচাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে বিজিডিসিএলের কারিগরি দল। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে উলচাপাড়া রোডের গ্যাস সঞ্চালনের ৬ ইঞ্চি লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাসের সঞ্চালন লাইন সচল রেখে মেরামত করলে ওই স্থানে আগুন ধরে যাবে। তাই সদর উপজেলার ঘাটুরা অংশ থেকে সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ দিকে জেলা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা ভেবে কারিগরি দল দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করেছে। ২০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে শহরের মধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে।

বাখরাবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। আজ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উলচাপাড়া অংশে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ চলছিল। সে সময় ওই যন্ত্রের আঘাতে গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ৬ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাদের কারিগরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্যাসের সংযোগ লাইন মেরামত করতে সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় থাকা গ্যাস সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ পৌর এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

কালাইশ্রীপাড়ার মনির হোসেন বলেন, ‘বিকেল চারটার পর থেকে গ্যাস নেই। রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। শিশুদের জন্য কোনো খাবার রান্না করতে পারছেন না আমার স্ত্রী।’

কাজীপাড়ার বাসিন্দা তমালিকা দেবনাথ বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার নাশতা বানাতে রান্নাঘরে যাই। গিয়ে দেখি ‍চুলায় গ্যাস আসছে না। কবে আসবে জানি না। রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। ছোট বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে।’

বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার রাজস্ব বিভাগের উপব্যবস্থাপক গোলাম মোক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, ‘উলচাপাড়ায় গ্যাসের লাইন ছিদ্র হয়ে গেছে। তাই ঘাটুরা থেকে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পুরো শহরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে আমাদের কারিগরি দল কাজ শুরু করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ