ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
Published: 30th, October 2025 GMT
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী মর্যাদাপূর্ণ ‘আইইইই ইলেকট্রন ডিভাইস সোসাইটি (ইডিএস) মাস্টার্স ফেলোশিপ ২০২৫’ পেয়েছেন।
তিনি হলেন, ঢাবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা আনজুম আঁখি। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে এই বৈশ্বিক সম্মান অর্জনের মাধ্যমে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
আরো পড়ুন:
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য
তদন্ত প্রতিবেদন: ডুবে যাওয়ার ২০ মিনিট পর উদ্ধার হন সায়মা
ইলেকট্রন ডিভাইস ক্ষেত্রের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত ও স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছর এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। অসাধারণ গবেষণা দক্ষতা, গবেষণা প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং প্রকৌশল শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধনে অনন্য সাফল্যের জন্য বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ লাভ করে থাকেন।
এ বছর বিশ্বব্যাপী মাত্র দুইজন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এই ফেলোশিপ পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফসানা আনজুম আঁখি অন্যতম। অন্যজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউভার্সিটি অবব টেক্সাসের বিবেক তালাভাঝুলা।
আফসানা আনজুম আঁখি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ আফসানাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জানান, এই অসাধারণ সাফল্য বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা অঙ্গনে দেশের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। তার এই অর্জন বিভাগ ও অনুষদকে গর্বিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকগণ এসটিইএম ক্ষেত্রে উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত হবেন, যা ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির রূপ নির্মাণে সহায়ক হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র স ফল য র জন য আফস ন
এছাড়াও পড়ুন:
আকিজ ভেঞ্চারের হাত ধরে দেশে স্প্যানিশ ব্র্যান্ড সিমনের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল স্পেনের অন্যতম বৈশ্বিক ব্র্যান্ড সিমন। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের নানা দেশে সুইচ, সকেট, লাইটিং ও স্মার্ট হোম সলিউশন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে সিমন। স্প্যানিশ ব্র্যান্ডটিকে নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ ইলেকট্রিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস লিমিটেড।
সিমন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিমনের প্রিমিয়াম সুইচ, সকেট ও স্মার্ট হোম সলিউশন সিরিজের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দিন এবং সিমন গ্রুপের স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর কিম, সিমন এপ্যাকের বিজনেস ডিরেক্টর ডেরেক দাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিমন ব্র্যান্ড ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এবার আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশেও নিয়ে এল নান্দনিক নকশা, আধুনিক প্রযুক্তি ও স্মার্ট লাইফস্টাইলের নতুন অভিজ্ঞতা।
এ উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার ও পরশু শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সোনারগাঁও হোটেলের দ্বিতীয় তলার পদ্মা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘আকিজ ইলেকট্রিক্যালস সেফটি অ্যান্ড ইনোভেশন ফেস্ট’, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে প্রদর্শিত হবে স্মার্ট হোম সিস্টেম, লাইটিং, সুইচ-সকেট, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট পণ্য।
অনুষ্ঠানে আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে সিমনের ১০৯ বছরের অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন এখন বাংলাদেশে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি দেশের ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ, আধুনিক ও প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক্যাল সলিউশন নিশ্চিত করবে। ইউরোপীয় স্মার্ট প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ নিরাপদ মানের মাধ্যমে আমরা দেশের ইলেকট্রিক্যাল শিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করব। আর এসব পণ্যের দাম সবার সাধ্যের মধ্যে থাকবে। মান নিয়ে আপস করায় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমরা মানসম্মত পণ্য নিয়ে এসেছি।’
আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপ জানায়, চীনের উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সিমনের পণ্যগুলো বাংলাদেশে আসবে। এশিয়ার দেশগুলোতে চীন থেকেই পণ্য সরবরাহ করে সিমন।