গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতিকে অব্যাহতি
Published: 30th, October 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ শাখার পদত্যাগী সভাপতি মো. আল আমিন সরদারকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গণঅধিকার পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো.
পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মহসিন শেখকে জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ৭৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পার না হতেই সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবলীগ নেতা ও এনসিপি নেতাদের পদ দেওয়া এবং বিভাগীয় উপ-কমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের নবগঠিত কমিটির সভাপতিসহ ৫৯ জন নেতা পদত্যাগ করেন।
ঢাকা/বাদল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ: অংশগ্রহণভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য নির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে করেছে নাগরিক সংগঠন গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তারা অংশগ্রহণভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না, ইসির সঙ্গে আমাদের মূল দাবি ছিল, সেই আস্থাই পুনরুদ্ধার করা। এছাড়া রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সংশ্লিষ্ট উদ্বেগগুলো শুনে তা প্রয়োজনে আইন বা প্রথাগত পদ্ধতিতে প্রতিফলিত করা জরুরি।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে বৈঠকে আগামি নির্বাচন, গণভোট-সংক্রান্ত বিষয়, এবং নির্বাচন রুলস (আরপিও) সংশোধনসহ নির্বাচনী পরিবেশ নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। কমিশন প্রাণকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষও বর্তমান প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলের নিকট তথ্য উপস্থাপন করে।
কর্মকর্তারা বৈঠকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ যে পদক্ষেপ নেবে তার খসড়া তুলে ধরেন।
বৈঠকের প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য, আগে থেকেই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করেছে।
ইসি জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলবে এবং নভেম্বর মাসে আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচন ভবনের আশপাশে বৈঠকের সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়। তবে ফটক এলাকা ও কার্যক্রমে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ ও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে এমন সংলাপ বানানো স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে সহায়ক হলেও বাস্তবে তা কী পরিমাণে ফলাফল দেয়—সেই বিষয়টি বিদেশি ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের নজরে থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদ ও নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের বৈঠকগুলোকে অনেকে স্বাগত জানালেও দাবি রয়েছে- এসব সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা না রেখে প্রতিশ্রুত বাস্তব পরিবর্তনে রূপান্তরিত হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী