কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 13th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিনের কর্মী ও সমর্থকেরা মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দৌলতপুর থানা বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
দৌলতপুর থানার সামনে থেকে সেন্টার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন দৌলতপুর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলতাফ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার ও দৌলতপুর কৃষকদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতারা অভিযোগ করেন, সারা দেশে ঘোষিত বিএনপির প্রাথমিক ২৩৭টি মনোনয়নের মধ্যে দৌলতপুরে শরীফ উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিকভাবে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার বলেন, ঘোষিত প্রার্থী অতীতে ওয়ান ইলেভেন সরকারের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকার বিনিময়ে ভোট কেনাবেচায় অংশ নেন। এ ছাড়া দৌলতপুরে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত লুটপাট, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ নানা অপকর্মে তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণেই দৌলতপুরবাসী মনোনয়ন পরিবর্তন চায়।
বিএনপির নেতারা বলেন, বর্তমান প্রার্থীকে নিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা ও অনাস্থা তৈরি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ আজকের এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন। এর আগেও কুষ্টিয়ার আরও তিনটি আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি হয়েছে। তবে শরীফ উদ্দিনের সমর্থকেরা অহিংস ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানববন্ধন করছেন, কোনো ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধে যাননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র দ লতপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে মানববন্ধন
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতার নাম আনিসুল হক (৫৩)। আনিসুল সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সুবর্ণচরের খাসেরহাট বাজারের একজন ব্যবসায়ী ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষোভ করেন উপজেলার খাসেরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখেন তাঁরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন করে তাঁরা প্রতিবাদ জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার চরজব্বার থানা–পুলিশ আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে। এ খবর জানাজানির পর গতকাল রাতেই মাইকিং করেন ব্যবসায়ীরা।
জানতে চাইলে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লোক সমাগমের প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।