মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 18th, November 2025 GMT
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী সিতারা আলমগীরের ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান মিরাজ এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সিতারা আলমগীরের ৩৩টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৪২২ টাকা এবং ৬ হাজার ১৮৮ ডলার জমা হয়। এর মধ্যে তাঁরা ৪৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪২৩ টাকা এবং ৬ হাজার মার্কিন ডলার উত্তোলন করেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫০১ টাকা ও ১৮৮ ডলার স্থিতি রয়েছে।
আরও পড়ুনসাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪এই দম্পতি এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ উত্তোলন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক বিধিমালা অনুযায়ী এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুনসাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা২৩ অক্টোবর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক হ স ব অবর দ ধ এসব ব য
এছাড়াও পড়ুন:
পুনরায় রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আহ্বান
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের কাছে পুনরায় আবেদন দাখিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
বিভাগটি থেকে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মামলার বর্তমান অবস্থা, এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের পরিষ্কার ফটোকপি সংযুক্ত করার অনুরোধ করা হলো।
দেশে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক বা কথিত ‘গায়েবি মামলা’ যাচাই করে প্রত্যাহারের উদ্যোগ চলমান।
এর আগে, সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে দেশের সব পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের এসব মামলার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে জাতীয় দৈনিকগুলোতে গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত মামলার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। ধাপে ধাপে আরো মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী