পাটগ্রাম সীমান্তে এবার গুলি ছুড়ল বিএসএফ
Published: 10th, November 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের প্রতি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে ৫ নভেম্বর ভোরে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সীমান্তে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছিল বিএসএফ।
এ সম্পর্কে রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিএসএফের গুলি ছোড়ার খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ওই সীমান্তে গেছেন। পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বিএসএফ পরে সময় দেবে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট গ্রাম সীমান্তের ৮৫৪ নম্বর পিলারের ওপারে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার সীমান্ত–সংলগ্ন গ্রাম পকেটপাড়া। দুই দেশের চোরাকারবারি আজ ভোরে শূন্যরেখায় জড়ো হয়। এ সময় ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়েন। ভোরের দিকে গুলির শব্দ হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
গুলিতে তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তথ্য জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভোরে নামাজ পড়ে ফেরার পথে দেখি, একটি মোটরসাইকেলে করে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে যাচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।
তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী