খাগড়াছড়ির পাঙ্খোয়া গ্রামে গেলে জুমচাষিদের ছোট্ট বাজারটায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না
Published: 25th, November 2025 GMT
বাজার বলতে আমরা যেমনটা বুঝি, একসঙ্গে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ক্রেতা–বিক্রেতার সমাগম, ঠিক তেমন নয়। গাড়ি চলাচলের রাস্তার দুই পাশজুড়েই বাজার বসেছে।
রাস্তায় বড় যান তেমন নেই, রিকশা আর অটো। প্রতি সোম আর বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক বাজার বসলেও সপ্তাহের প্রতিদিনই এখানে বাজার সচল থাকে।
বিক্রেতার সিংহভাগই পাহাড়ি নারী। গায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পিঠে বাঁশ–বেতের ঝুড়ি। সেই ঝুড়িতে নিজেদের ফলানো ফসল নিয়ে বাজারে হাজির হন তাঁরা।
তেমনই একজন সুখি রানী। খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তাঁর বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি ‘নয় মাইল’। সেখান থেকেই জুমের ফসল নিয়ে এসেছিলেন। বিক্রি শেষে কাঁধের ঝুড়িটা একপাশে রেখে নেমে পড়লেন নিজেদের কেনাকাটায়।
বাজারে ওঠা ফসলের মধ্যে আছে শসা জাতীয় মারফা, বাঁশ কোরল, জলপাই, কাঁচা ভুট্টার মোচা, নানা রকমের পাহাড়ি কলা, মরিচ, কচু, কচুর ছরা, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, লেবু, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, মেটে আলু, আঁটি বাধা বরবটি, কাঁকরোল, মাশরুম, পুঁইশাকের বীজ, চুকুর পাতা, ধনেপাতা, পাহাড়ি কারিপাতা, পেঁপে, লাউশাক, কাঁচা তেঁতুল, কাঁচা হলুদ, হলুদের ফুলসহ অনেক সবজি।
ঝুড়িতে বোলে, পলি বা ত্রিপল কিংবা স্রেফ কলাপাতা বিছিয়ে ছড়িয়ে রাখা। দামটাও হাতের নাগালে—১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই সব সবজি নেওয়া যায়।
এ বাজারে দামটাও হাতের নাগালে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরী সদৃশ্য রহস্যময় প্রাণি দেখার দাবি
রাতে আমগাছের ডালে পরী সদৃশ্য এক রহস্যময় প্রাণি দেখার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ছয়পাড়া গ্রামে পরী সদৃশ্য প্রাণির দেখা মেলে।
ছয়পাড়া গ্রামের কাদের প্রামাণিকের ছেলে মাসুদ কবির আমগাছের মগডালে পরী দেখেছেন বরে দাবি করেন।
তিনি জানান, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় ‘তালুকদার বাড়ী’ নামে পরিচিত একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে থাকা আমগাছের ওপর হঠাৎ অস্বাভাবিক আলোর ঝলক দেখতে পান। বিষয়টি অদ্ভুত মনে হওয়ায় উপরে তাকাতেই গাছের মগডালে পাখাওয়ালা পরী সদৃশ্য একটি প্রাণিকে দেখতে পান তিনি।
হঠাৎ এমন দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেও মোবাইল ফোনে তিনটি ছবি তুলে রাখেন তিনি। কিছুক্ষণ পর সাহস করে আরো কাছে এগোতেই রহস্যময় প্রাণীটি অদৃশ্য হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
পরে তিনি ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন- “আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে নিজ চোখে অলৌকিক পরীর দেখা মিললো।” সোমবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে এই পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় সাথে থাকা বড়পাঙ্গাসী গ্রামের নাজির সরদারের ছেলে নাইম ইসলাম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। আলোর উৎস দেখেছি এবং মোবাইলে তোলা ছবিও দেখেছি, যদিও নিজ চোখে পরী সদৃশ্য প্রাণীটিকে দেখতে পাইনি।”
এদিকে, রহস্যময় এই প্রাণির দেখা পাওয়ার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই ঘটনাটিকে অলৌকিক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজছেন।
ঢাকা/অদিত্য/এস