এসিসির টুর্নামেন্ট হোক বা বৈশ্বিক আইসিসির, ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখে এখন টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা থাকে আয়োজকদের। গেল কয়েক বছর ধরে এর কোনো ব‌ত‌্যয় হয়নি।

২০২৬ বিশ্বকাপেও প্রতিবেশি, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশকে একই গ্রুপে দেখা যাবে। ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর,  কলম্বোতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের ম‌্যাচে মুখোমুখি হবে। ইন্টারন‌্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করতে পারে। তার আগেই বেরিয়ে এলো, ভারত ও পাকিস্তানের ম‌্যাচের সূচি।

ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকছে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। মুম্বাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের আসর।

পাকিস্তান নিজেদের সবগুলো ম‌্যাচ খেলবে কলম্বো কিংবা ক‌্যান্ডিতে। এমনিতে ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদ। তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে কলম্বোতে হবে শিরোপা নির্ধারণী ম‌্যাচ।

আগের বিশ্বকাপের মতো এবারও ২০ দল ৪টি গ্রুপে ভাগ হবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল যাবে সুপার এইটে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে, এরপর ফাইনাল।

প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বার্বাডোসে ফাইনালে তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ পেল আইসিবি

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকারে। এটা টাকা সরাসরি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সরকারের কাছে আইসিবি মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চাইলেও প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সফট লোন হিসেবে পেয়েছে। ১০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে প্রথম বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এরপর প্রতি ছয় মাসে মূলধন ও ৫ শতাংশ সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

সরকারি এ ঋণ শুধু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এটি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে বড় আকারের সরকারি বিনিয়োগ সাধারণত মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক চাহিদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আইসিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদিকদের জানান, ঋণ পাওয়ার পরই নতুন একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে কিছু শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে বিনিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের এই উদ্যোগ শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য এক শক্তিশালী প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসছে এবং তারা নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগের দিকে উৎসাহ ও আগ্রহের সঙ্গে দৃষ্টি রাখছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপ বাজারে আস্থা জোরদার করবে এবং মধ্যমেয়াদে শেয়ারবাজারে নতুন চাহিদা ও বিনিয়োগ প্রবাহ তৈরি করবে। বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করলে, তাদের জন্য আরো সুফল অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ