কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রহমান আন্নুর (৫৬) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের কবিরপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

আন্নু গত ৯ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

নেত্রকোণার হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

গত ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী ট্রলারে পার হচ্ছিলেন আন্নু। এসময় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। সেদিন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার কোনো সন্ধান পায়নি। এ ঘটনায় ১৭ নভেম্বর আন্নুর স্ত্রী জিয়াসমিন আরা রুমা কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন পদ্মা নদীর তীরবর্তী ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের কবিরপুর চরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ফরিদপুর কোতোয়ালি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিঃ) তপন নন্দী সঙ্গীয় ফোর্সসহ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মারা যাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে টাচ ফোন পাওয়া গেছে, সেটি পানিতে ভিজে অকেজো অবস্থায় আছে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, “নিখোঁজ শ্রমিক দল নেতা আন্নুর মরদেহ পদ্মা নদী থেকে ফরিদপুর নৌ পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে তারা।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র সদর উপজ ল ত র মরদ হ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্র অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শাহ জব্বারিয়া এতিমখানার রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

শিশুটির পরিবার বলছে, বিকেলে বার্মিজ মার্কেটে নাস্তার জন্যে বের হলে তাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃত শিশু মোহাম্মদ তকী তাযওয়ার (১২) চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ নোমানের ছেলে। সে শাহ জব্বারিয়া এতিমখানার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় তকীর চাচা মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা রবিবার সন্ধ্যার দিকে তকীর ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। সেসময় অজ্ঞাতব্যাক্তি ফোনে এই টাকা না পেলে তকীকে হত্যা অথবা পাচার করে দিবে বলে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় তকীর জীবন নিয়ে পরিবারের সদস্যরা শঙ্কিত।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, শিশুটির পরিবারের দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশের টিম শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে কাজ করছে।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ