ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে দেশটির জ্বালানি খাত থেকে ১০ কোটি ডলার আত্মসাতের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। ১০ নভেম্বর ইউক্রেনের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জেলেনস্কির ব্যবসায়িক অংশীদার তিমুর মিনদিচ এবং সরকারের দুজন মন্ত্রীকে ইতিমধ্যে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

এই তদন্ত পরিচালনা করছে ইউক্রেনের ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরো, যা পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থিত একটি সংস্থা। ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাকও এই চক্রে জড়িত থাকতে পারেন।

এই কেলেঙ্কারি জেলেনস্কির আন্তর্জাতিক সুনাম এবং সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনের অবস্থানকে বড় ধরনের আঘাত করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এখন মনে হচ্ছে অন্য কারও ইশারায় নাচা পুতুলের মতো। পর্দার আড়াল থেকে যাকে নিয়ন্ত্রণ করছে অন্য কেউ। সেই নিয়ন্ত্রক যে কেউ হতে পারে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনও।

আরও পড়ুনট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে যেভাবে চাঁদাবাজি হলো২০ আগস্ট ২০২৫

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনের নীতিতে ইতিমধ্যেই নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বে আছেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই কিসলিৎসিয়ার।

১১ নভেম্বর তাঁর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস। তিনি সেখানে স্পষ্ট জানান যে আলোচনায় কোনো ফল না আসায় মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ পরই জেলেনস্কি ঘোষণা করেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চান।

এরপরই কথা উঠতে থাকে উদীয়মান মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে। গণমাধ্যমের ফাঁস হওয়া তথ্যমতে, যা মূলত যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়ার সব প্রধান দাবি মেনে নেওয়ার প্রস্তাব। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের এর বিরুদ্ধে অবস্থান সত্ত্বেও জেলেনস্কি ওই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেননি, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুর্নীতি কেলেঙ্কারি তার প্রতিবাদ জানানোর ক্ষমতা সীমিত করে দিয়েছে।

এখন শান্তির সম্ভাবনা আরও বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে। কারণ, ইউক্রেনের সম্ভাব্য পরাজয়ের জন্য এখন একটি স্পষ্ট বলির পাঁঠা পাওয়া গেছে। সেই বলির পাঁঠা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই।

ইউরোপে রাশিয়ার সঙ্গে আরও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ অনেকটাই শেষ। তবুও এমন একটি অপ্রত্যাশিত সমঝোতায় পৌঁছানোর দায় কেউই নিতে চায় না, যা এই যুদ্ধ ছাড়াও অর্জন করা যেত।

এ বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের নেতৃত্বে আলোচনাগুলো তেমন অগ্রসর হয়নি। কারণ, কেউই এমন ফলাফলের দায় নিতে চায়নি, যা যুদ্ধের সমর্থকদের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত। সামরিক পরাজয় কিয়েভের জন্য মুক্তির পথ হতে পারে, কিন্তু এটি হবে সেসব যুদ্ধপন্থী রাজনীতিবিদ ও লবি গোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ আঘাত। কারণ, তারা মনে করেছিল রাশিয়ার মতো পরমাণু শক্তিধর দেশকে বল প্রয়োগ করে পশ্চিমা আধিপত্য মেনে নিতে বাধ্য করা যাবে। এই ভ্রান্ত ধারণাই সংঘাতজুড়ে রাশিয়া সম্পর্কে পশ্চিমা নীতির ভিত্তি ছিল।

অনেক দিন ধরেই স্পষ্ট যে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সামরিক সহায়তা, অর্থায়ন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে একপ্রকার ‘দেয়ালে’ দিয়ে ঠেকেছে। অর্থাৎ আর এগোনো তাদের পক্ষে কঠিন। মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপিত উনিশ দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর সময়ের তুলনায় রুশ সেনাবাহিনী এখন আরও শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত।

আরও পড়ুননতুন আক্রমণে যাচ্ছে রাশিয়া, জেলেনস্কি কিয়েভকে রক্ষা করবেন কীভাবে?১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অন্যদিকে ইউক্রেন ভুগছে সামরিক পরিকল্পনাহীনতা, ভূখণ্ড হারানো এবং জনবল ক্ষতির কারণে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন আগামী এপ্রিলের মধ্যেই পশ্চিমা অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়তে পারে। আরও খারাপ খবর হলো দেশটির ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় মিত্ররা ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের খরচ বহন করতে প্রস্তুত নয়।

ইউরোপে রাশিয়ার সঙ্গে আরও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ অনেকটাই শেষ। তবুও এমন একটি অপ্রত্যাশিত সমঝোতায় পৌঁছানোর দায় কেউই নিতে চায় না, যা এই যুদ্ধ ছাড়াও অর্জন করা যেত।

ইউক্রেনের পরাজয়ের দায় নেওয়া ট্রাম্পের জন্য খুব বড় ঝুঁকি নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই সংঘাতকে ‘বাইডেনের যুদ্ধ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপীয় নেতাদের জন্য আর জেলেনস্কির নিজের জন্য এটি মেনে নেওয়া অনেক বেশি কঠিন। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে এসেছেন যে রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত করা সম্ভব।

আরও পড়ুনইউক্রেন জয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই পুতিনের১৮ নভেম্বর ২০২৫

আজকের পরিস্থিতি বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরর, যখন প্যারিসে জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ওই বৈঠকে দুই পক্ষ পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যার ফলে পরবর্তী ১২ মাসে লড়াই বন্ধ থাকে এবং ফ্রন্টলাইনও স্থির হয়ে যায়।

সেই সময়ই যুদ্ধ এমন শর্তে শেষ হতে পারত, যা আজ কিয়েভ জন্য কেবলই স্বপ্ন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন হোয়াইট হাউসে আসার পর জেলেনস্কি হঠাৎ শান্তি প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেন।

জেলেনস্কি ইউক্রেনে পুতিনের প্রধান রাজনৈতিক মিত্রের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালান এবং ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে জোরালো প্রচারণা শুরু করেন। তাঁর পশ্চিমা মিত্ররা জার্মানিকে নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন, যা রাশিয়ার একটি বড় জ্বালানি রপ্তানি প্রকল্প, তা বন্ধ করতে চাপ দিতে থাকে। লন্ডনও ক্রিমিয়ার উপকূলে (যা রাশিয়া নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে) একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে মস্কোকে চ্যালেঞ্জ করে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই বিপজ্জনক ‘ব্রিঙ্কম্যানশিপ’ বা সংঘর্ষের সীমানায় দাঁড়িয়ে চালানো উত্তেজনার রাজনীতি শেষ হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন পুতিন ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেন।

এ বছরে ইউক্রেন একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির দাবিতে ফিরে আসে। আর এটি করতে হয়েছে ইউক্রেনকে বিপুল ভূখণ্ড, অনেক অবকাঠামো, সাড়ে ১৪ হাজার সাধারণ নাগরিক এবং প্রায় ১ লাখ সামরিক সদস্য হারানোর পর।

রাশিয়ার শর্তে শান্তিচুক্তি করা ইউক্রেনের জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত অন্যায় হবে এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধীও। কিন্তু এর একমাত্র বিকল্প হলো দেশটি আরও গভীরভাবে ধ্বংসের গহ্বরে ডুবে যাওয়া এবং রাষ্ট্র হিসেবে ভেঙে পড়া।

শান্তি পরিকল্পনার খসড়ার প্রতি প্রতিক্রিয়া ছিল প্রত্যাশিত। তা ছিল কিছুটা নৈতিকতার প্রদর্শন, অভিনয়সুলভ প্রতিবাদ আর উগ্র জাতীয়তাবাদী সুরের মিশ্রণ। তবে এতে ছিল না বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা, যা ইউক্রেনের আলোচনার অবস্থানকে কিছুটা হলেও শক্তিশালী করতে পারত।

এখন জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠমহলের দুর্নীতি পশ্চিমে ইউক্রেনপন্থী সমর্থকদের জন্য একটি ‘পালানোর পথ’ তৈরি করেছে। এই পালানোর পথ তাদের যুদ্ধের ভয়াবহ বিপর্যয়ের দায় থেকে মুক্তি দেবে, অথচ এই বিপর্যয় সৃষ্টিতে তারাও ছিল সমানভাবে দায়ী।

লিওনিদ রাগোজিন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক

• আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র প র জন য ইউর প ন একট

এছাড়াও পড়ুন:

বারাণসী: বাজেট ১৮০৩ কোটি টাকা, কে কত পারিশ্রমিক নিলেন?

ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রামিক নেওয়া পরিচালক এসএস রাজামৌলি। তার নির্মিত পরবর্তী সিনেমা ‘বারাণসী’। তেলেগু ভাষার এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন—দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনেতা মহেশ বাবু, পৃথ্বীরাজ সুকুমারান, বলিউড-হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের টিজার। ভিজ্যুয়াল, সময়ের ব্যাপকতা ও আকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন গল্প বলার স্টাইলে বুঁদ হয়ে আছেন দর্শকরা।  

‘বারাণসী’ সিনেমার বাজেট
টাইম-ট্রাভেল ঘরানার ‘বারাণসী’ সিনেমার বাজেট ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮০৩ কোটি টাকা); যা ইতিহাস তৈরি করেছে। এই অর্থের মধ্যে প্রিন্ট ও প্রচারের খরচ অন্তর্ভুক্ত নয়। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক লোকেশনগুলোতে শুটিং থাকায় বাজেট আরো বাড়তে পারে। বাজেটের বড় অংশই তারকাদের পারিশ্রমিক, বিশ্বব্যাপী শুটিং, উন্নত ভিএফএক্স এবং শীর্ষ প্রযুক্তিবিদদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে নির্মিত সর্বাধিক ব্যয়বহুল সিনেমাগুলোর অন্যতম হতে যাচ্ছে ‘বারাণসী’।  

আরো পড়ুন:

অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী অভিনেত্রী

ডিম্বাণু সংরক্ষণ: কটাক্ষের মুখে নীরবতা ভাঙলেন রাম চরণের স্ত্রী

তবে এই বাজেটকে ‘কম’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রেড সংশ্লিষ্টরা। বলিউড হাঙ্গামাকে একটি সূত্র বলেন, “এসএস রাজামৌলির বিশাল দৃষ্টিভঙ্গিকে পর্দায় রূপ দিতে ১৩০০ কোটি রুপি বাজেট তুলনামূলক কমই। যেখানে ‘এ৬’ এবং ‘রামায়ণ’ এর মতো চলচ্চিত্রগুলো ১৫০০-২০০০ কোটি রুপি বাজেটে তৈরি হচ্ছে, সেখানে এসএস রাজামৌলি আরো বড়সড় একটি সিনেমা বানাতে চলেছেন; যা অনেক কম বাজেটে।” 

কে কত পারিশ্রমিক নিলেন?
মহেশ বাবু: ‘বারাণসী’ সিনেমার প্রধান চরিত্র রূপায়ন করছেন মহেশ বাবু। এ সিনেমার জন্য নির্ধারিত কোনো পারিশ্রমিক নেননি এই অভিনেতা। বরং সিনেমাটির ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ নেবেন মহেশ বাবু। 
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মহেশ বাবুর সহশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। এ সিনেমার জন্য ৩০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই হলিউড অভিনেত্রী। ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা। 
পৃথ্বীরাজ সুকুমারান: ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারান। সাধারণত প্রতি সিনেমার জন্য এ অভিনেতা ৪-১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তবে ‘বারাণসী’ সিনেমার জন্য এই অভিনেতা ১০ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
এসএস রাজামৌলি: ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত পরিচালক এসএস রাজামৌলি। শুরুতে জানা যায়, এ সিনেমার জন্য রাজামৌলি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২০০ কোটি রুপি। কিন্তু এ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি। বরং সিনেমাটির লভ্যাংশের ৩০-৪০ শতাংশ নেবেন বর্ষীয়াণ এই পরিচালক। 

‘বারাণসী’ সিনেমার মুক্তির তারিখ
‘ট্রিপল আর’ সিনেমা বিশ্বব্যাপী সাফল্যের পর, রাজামৌলি সৃষ্টিশীল ও বাণিজ্যিক দিক থেকে ‘বারাণসী’ সিনেমাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সম্প্রতি সংগীত পরিচালক এমএম কীরাবাণি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৭ সালের গ্রীষ্মে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে।  

তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম, বলিউড হাঙ্গামা

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ