সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের ভবনগুলোর কাঠামোগত স্থিতিশীলতা অবিলম্বে মূল্যায়ন করে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) দক্ষ ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো.

আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

‘সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প’ শিরোনামে ২২ নভেম্বর এবং ‘এক দিনে ৩ বার ভূমিকম্প’ শিরোনামে ২৩ নভেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই দুটিসহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া গতকাল রোববার রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী মো. গোলাম কিবরিয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আদালত ও আদালতের প্রশাসনিক ভবন, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন রয়েছে উল্লেখ করে আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, অবকাঠামোগত মূল্যায়ন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে গণপূর্ত বিভাগের সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও বুয়েটের উপাচার্যের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে এসব স্থাপনার স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে অবকাঠামোগত মূল্যায়ন ও রেট্রোফিটিং (ভূমিকম্পসহন) প্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারী এই আইনজীবী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প র ম ক র ট প র ঙ গণ ক ঠ ম গত ভ ম কম প আইনজ ব প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ই-পারিবারিক আদালত বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে’

ই-পারিবারিক আদালত বিচার ব্যবস্থাকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতাপূর্ণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এই ডিজিটাল উদ্যোগ নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে এবং সময়, অর্থ ও যাতায়াতের ব্যয় কমাবে বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জগন্নাথ -সোহেল মিলনায়তনে ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ই-পারিবারিক আদালত বর্তমান সরকারের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার একটি কার্যকর উদ্যোগ। বিচারপ্রার্থী জনগণ, বিচারক ও আইনজীবীদের জন্য ই-পারিবারিক আদালত অনেক বেশি সহায়ক হবে, এতে সময় অর্থ ও যাতায়াতের কষ্ট লাঘব হবে। ই-পারিবারিক আদালত নারী ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ডিজিটালাইজেশন অনেক সুফল রয়েছে, পৃথিবীতে যেসকল দেশ ডিজিটালাইজেশন হয়েছে তারা তত বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। ই-পারিবারিক আদালত বিচার প্রার্থীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করবে।” ই-পারিবারিক আদালতের কার্যকার করতে  আইনজীবীদের সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক আইজিপি শহীদুলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
  • আদমজীতে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন, চরম আতঙ্ক
  • নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারে পরিবারের আবেদন
  • সারা হোসেনের প্রশ্ন, ‘পুলিশ কি পুরোনো নিপীড়ন বন্ধ করবে’
  • দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার আসামির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ ডিসেম্বর
  • ‘ই-পারিবারিক আদালত বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে’
  • আমরা কি জেনেবুঝে বিপর্যয় ডেকে আনছি
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক
  • উৎপত্তিস্থল মাধবদীতে এপাশ-ওপাশ দুলছিল উঁচু ভবনগুলো, মাটিতে ফাটল