বন্দরে মাসুম হাওলাদার (৩৬) হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি মোঃ রানা ওরফে সোহেল ওরফে অটো রানা ওরফে জামাই রানাকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ রানা (৩০) বন্দর থানার নোয়াদ্দা খানকারবাড়ি এলাকার মৃত লিয়াকত হোসেনের ছেলে। এর আগে গতকাল ফতুল্লার কায়েমপুর ওয়াপদার পুল এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

এর আগে ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর  বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন মাসুম। ৭ নভেম্বর  সকালে বন্দর থানাধীন কুশিয়ারি এলাকার চন্ডীতলা কবরস্থানের পূর্ব পাশে খালের ডোবার থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে মাসুমের স্ত্রী শিরিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পলাতক আসমিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বাউলদের ওপর হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে: এনসিপি

মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের সমর্থকদের ওপর সংঘটিত হামলা, ধাওয়া ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধর্ম ও সম্প্রীতি সেল। তারা বলেছে, মানিকগঞ্জের ঘটনার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করে হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অভিযোগ বা মতভিন্নতার সমাধান হবে আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে, কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে নয়।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এনসিপির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। দলের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন এনসিপির ধর্ম ও সম্প্রীতি সেলের সম্পাদক তারেক রেজা।

এনসিপির ধর্ম ও সম্প্রীতি সেলের বিবৃতিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাঁর সমর্থকদের ওপর সংঘটিত হামলা, ধাওয়া ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধর্ম ও সম্প্রীতি সেল গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছে এবং দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। যে মতবিরোধ বা অভিযোগই থাকুক—সহিংসতা, হয়রানি বা আইনহীনতার কোনো বৈধতা নেই৷

এনসিপি বলেছে, ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে বাউল, ফকির, সুফি, তাসাউফপন্থীসহ বিভিন্ন ধারার সমৃদ্ধ অবদান রয়েছে। এই বৈচিত্র্য রক্ষা করা মানে আমাদের মানবিক রাষ্ট্রচিন্তা ও ঐতিহাসিক সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। বাংলাদেশটা সবার—এখানে ভিন্নমতকে দমন নয়, বরং শোনা ও বোঝার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় মত বা ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকতেই পারে এবং কখনো কখনো তা বিতর্কেরও সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু তার উত্তরের পথ কখনোই সহিংসতা বা প্রতিশোধ হতে পারে না। এ দেশের দায়িত্বশীল আলেম সমাজ যুগের পর যুগ যে শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সদাচরণের মাধ্যমে দ্বীনের শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছেন, এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। সমাজে উত্তেজনা বা ভুল ব্যাখ্যা দেখা দিলে এই শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজই মানুষকে সংযম, শান্তি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার পথে রাখার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ধর্ম ও সমাজের প্রশ্নে সহিংসতার কোনো স্থান নেই—এই নীতিতে যাঁরা অবিচল থেকেছেন, আমরা তাঁদের এই অবস্থানের সঙ্গে একাত্ম। শান্তিপূর্ণ দাওয়াত ও জ্ঞানভিত্তিক সংলাপই দ্বীনের প্রকৃত রাহবারি, এ কথা আজ আরও বেশি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।’

বাউল-ফকির-তাসাউফপন্থীসহ সব সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উসকানি, বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে ধর্মীয় নেতা, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সম্প্রীতি, সংযম ও পারস্পরিক সম্মানের পথ আরও শক্তিশালী করতে হবে৷ অন্যায়ের প্রতিকার কখনোই অন্যায় দিয়ে হয় না। সহিংসতা প্রতিস্থাপিত হয় ন্যায়, ধৈর্য ও মানবিক আচরণে। আমরা শান্তি, সংহতি ও আইনের শাসনের পক্ষে সব সময়। বাংলাদেশটা সবার; এটিকে নিরাপদ, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করতে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ