৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র; দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। সত্তরের দশকের আলোচিত এই নায়কের ব্যক্তিগত জীবনও ছিল ঘটনাবহুল। জেনে নেওয়া যাক প্রয়াত এই অভিনেতার জীবনের জানা–অজানা দিক।

১.বলিউডের ‘হি–ম্যান’
১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় ছবি ‘শোলা অউর শবনম’ দিয়েই প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান ধর্মেন্দ্র। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার, যিনি মূলত পৌরুষদীপ্ত ও শক্তিমান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবির মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন সাহস ও বীরত্বের প্রতীক। এখান থেকেই তাঁর নাম হয়—‘হি–ম্যান অব হিন্দি সিনেমা’।

২.

শুধু নায়ক নন
১৯৬৪ সালে মোহন কুমার পরিচালিত ও জে ওম প্রকাশ প্রযোজিত ‘আয়ি মিলান কি বেলা’ ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি। এখানে তিনি ধূসর চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাঁর অভিনয়–প্রতিভার আরেকটি দিক তুলে ধরে; সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায় সিনেমাটি।

৩. রাজেশ খান্নার উত্থান ও প্রতিযোগিতা
১৯৬৯ সালে ‘আরাধনা’ ও ‘দো রাস্তে’ ছবির মাধ্যমে রাজেশ খান্না বলিউডে ঝড় তোলেন। নতুন তারকার আগমনে যখন অনেক অভিনেতা চাপে পড়েন, ধর্মেন্দ্র তখন নিজের অবস্থান শক্ত রাখেন। একই বছরে ‘আয়া শাওন ঝুম কে’, ‘ইয়াকিন’, ‘পেয়ার হি পেয়ার’ ও ‘আদমি অউর ইনসান’–এর মতো হিট ছবির মাধ্যমে তিনি নিজেকে বাণিজ্যিক সিনেমার সফল তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আরও পড়ুনধর্মান্তর থেকে গোপন বিয়ে, ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেমজীবন২ ঘণ্টা আগেধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। এক্স থেকে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বাসার সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় নিজ বাসার সামনে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা উদ্যানের বি ব্লকে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম বিল্লাল হোসেন বাবু (২৬)। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আহত হয়েছেন। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ বলছে, বিল্লালের বাসার সামনে একটা মুদিদোকান আছে। সেখানে গতকাল রাতে তাঁর বাবার সঙ্গে কয়েক ব্যক্তির কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। বিল্লাল বাধা দেন। এ তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তিরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত নয়টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি, দ্রুতই তাঁরা গ্রেপ্তার হবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ